নয়া রুটে জনসংযোগ

কেউ বলছেন কাকতালীয়। কেউ বলছেন, ধারাবাহিক কর্মসূচির অং‌শ। আর বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে তুলনামূলক ‘খারাপ’ ফলের পর সরকারি বাসের নয়া রুট চালু করে জন সংযোগের রাস্তা খুলছে শাসক দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৮ ০০:১৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কেউ বলছেন কাকতালীয়। কেউ বলছেন, ধারাবাহিক কর্মসূচির অং‌শ। আর বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটে তুলনামূলক ‘খারাপ’ ফলের পর সরকারি বাসের নয়া রুট চালু করে জন সংযোগের রাস্তা খুলছে শাসক দল।

Advertisement

আরও সরকারি বাসের দাবি জঙ্গলমহলে দীর্ঘদিনের। অবশেষে তা মিটতে চলেছে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের পরিচালন কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলায় ২৫ টি নতুন সরকারি বাস রুট চালু হবে। পঞ্চায়েত ভোটের ফল কিছুটা খারাপ হতেই কি নড়েচ়ড়ে বসল সরকার? প্রশাসনিক আধিকারিকদের অবশ্য দাবি, যে কোনও সিদ্ধান্ত এবং তার বাস্তবায়ন একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ঘটনাচক্রে, ভোটের ফলের পর প্রক্রিয়া শেষ হল। ঝাড়গ্রামের জেলা পরিবহণ আধিকারিক অমিয়কুমার কুণ্ডু বলেন, “জেলার আরটিএ বোর্ডের বৈঠকে ওই ২৫টি রুটের অনুমোদন দেওয়া হবে ও চূড়ান্ত সময় সারণি ঠিক করা হবে।”

বিরোধীরা অবশ্য এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয়। তাদের অভিযোগ, জঙ্গলমহলে শাসক দল ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই নতুন বাসের মাধ্যমে তাদের জনসংযোগের- রুট করে দেওয়া হল। ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি সভাপতি সুখময় শথপথী বলেন, ‘‘এলাকায় জনসমর্থন হারিয়ে এখন উপঢৌকন দিয়ে মন জয়ের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ বিরোধীদের ব্যাখ্যা, জেলায় যে ২৫টি নতুন সরকারি বাস রুট চালু হচ্ছে তার মধ্যে প্রায় ১০টি বাসই কোনও না কোনওভাবে গোপীবল্লভপুর ছুঁয়ে যাবে। ঘটনাচক্রে এই গোপীবল্লভপুরে পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল করেনি তৃণমূল। ঝাড়গ্রামের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অবশ্য বলছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের রাজনীতি করেন না। উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সেটাই হচ্ছে।’’ তৃণমূলের যুক্তি, বেলপাহা়ড়ি ব্লকের বাঁশপাহাড়ি ও শিমূলপাল গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু এই দফায় সেখানে কোনও বাস দেওয়া হয়নি। জামবনি, বেলিয়াবেড়া, নয়াগ্রাম মতো ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকে বিকেলের পরে জেলা সদর যাওয়ার বা ফেরার বাসের সংখ্যা খুবই কম। নতুন রুটের বাসগুলি চালু হলে সে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী স্থানীয়েরা। কিন্তু ঘাগরা, খাঁদারানি, গাডরাসিনি ও লালজলের মতো প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে যেতে হলে পর্যটকদের এখনও ভরসা করতে হবে ভাড়ার গাড়ির উপরেই।

Advertisement

কিছু জরুরি রুট

• ঝাড়গ্রাম-বেলিয়াবেড়া

• ঝাড়গ্রাম-গোপীবল্লভপুর

• রোহিণী-ঝাড়গ্রাম

• গিধনি-মেদিনীপুর

• বালিগেড়িয়া-ঝাড়গ্রাম

নয়া রুটে ভোট ফিরবে? জবাব মিলবে লোকসভায়। আপাতত জঙ্গলমহলবাসী সন্ধ্যার পরেও দূরের গন্তব্য থেকে ফিরতে পারবেন ঘরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement