রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সন্ধি-সমঝোতা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ-শিবিরে জল্পনা চলছে। তার মধ্যেই মেদিনীপুরের লোকাল থানায় প্রতারণার মামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারা যুক্ত করল সিআইডি। ওই ধারা দেওয়া হয়েছে ধৃত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধেও।
বুধবার ওই ধারা যুক্ত করতে মেদিনীপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। ভারতী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন পুলিশ অফিসার রাজশেখর পাইন, সুজিত মণ্ডল, চিরঞ্জিত ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ফল ব্যবসায়ী বাসিন্দা ইউনুস আলি মণ্ডল। ওই চার জনের বিরুদ্ধে ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন তিনি।
সিআইডি জানায়, ভারতী এবং তাঁর স্বামীর ঘনিষ্ঠদের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই ওই ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ভারতীর আইনজীবী পিনাকী ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘আমার মক্কেল তাঁর সম্পত্তির বিষয়ে রাজ্য সরকার এবং আয়কর দফতরে হলফানামা দিয়েছেন। তাই ওই ধারায় মামলা করলেও কোনও অসুবিধা নেই।’’