প্রতীকী ছবি।
গ্রামাঞ্চলে দেশি মুরগির মতো মাঠেঘাটে ঘুরে বড় হবে না। আবার পোল্ট্রির মতো খুপরিতে নির্দিষ্ট খাবার খেয়েও বাড়বে না। দেশি মুরগির বিকল্প হিসেবে উন্নত প্রজাতির ‘বনরাজ’ মুরগির দল থাকবে বাড়িরই চৌহদ্দিতে বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে। রাজ্যের ছ’টি জেলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের বনরাজ মুরগি পালনে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এল প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়।
বছর পনেরো আগে হায়দরাবাদের পোল্ট্রি গবেষণা কেন্দ্রে আমেরিকা (রোড আইল্যান্ড রেড) ও ইংল্যান্ডের (ডারহাম) দু’ধরনের মুরগির মিলনে ‘বনরাজ’ নামে সংকর প্রজাতির মুরগির জন্ম হয়েছে। পরে হায়দরাবাদ থেকে ওই মুরগির ছানা এনে রাজ্য প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নদিয়ার মোহনপুরের খামারে চাষ করা হয়। তবে বেসরকারি ভাবে এর চাষ তেমন বাড়েনি। বেসরকারি উদ্যোগে বনরাজ মুরগির চাষ আরও বাড়লে ডিমের জন্য ভিন্ রাজ্যের উপরে নির্ভরতা কমবে বলে মনে করেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
রাজ্যের দাবি, স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় এনে এই ধরনের মুরগির চাষ বাড়ানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও বর্ধমানে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানান মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের বনরাজ মুরগি প্রকল্পের মুখ্য অধিকর্তা অজিতকুমার সাহু বলেন, ‘‘গ্রামীণ পরিবেশে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে-সব দেশি মুরগি পালন করা হয়, সেগুলির বৃদ্ধির হার বেশ কম। ডিমের সংখ্যাও আশানুরূপ নয়। সেই চাহিদা মেটাচ্ছে বনরাজ।’’ বিশেষজ্ঞদের দাবি, গ্রামীণ পরিবেশে ১২ সপ্তাহে বনরাজ মুরগির ওজন হয় প্রায় আড়াই কিলোগ্রাম। এরা বছরে ১৪০-১৫০টি ডিম দেয়।