ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার সল্টলেকে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে আর অফিস কামাই করে বা কাজ ফেলে স্কুলে গিয়ে ফর্ম আনতে হবে না অভিভাবকদের। বা ফর্ম ভর্তি করে স্কুলে জমা দিতেও যেতে হবে না। এবিপি গোষ্ঠী-র নতুন ওয়েবসাইট admissiontree.com-ই ঘটাবে মুশকিল আসান।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপাতত শহরের ৫০টি স্কুলের ভর্তি সংক্রান্ত ফর্ম ভরা বা জমা দেওয়া যাবে। স্কুলের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও এই ওয়েবসাইটে মিলবে। কিছু দিনের মধ্যে ‘অ্যাডমিশনট্রি’-র পরিধি বা ভর্তি বৃক্ষের শাখা আরও ছড়াবে। অনলাইন ভর্তির জন্য স্কুলের সংখ্যাও আরও বাড়বে। ক্রমশ কলকাতা, বাংলা বা দেশের অন্তত ২০০টি স্কুলে অনলাইন ভর্তির প্রক্রিয়া সারা যাবে। অর্থাৎ কলকাতায় বসেই মুম্বইয়ের কোনও নামী স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করানোর সাধও মিটবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সল্টলেকের কাছের একটি পাঁচতারা হোটেলে এই ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটল। নাগরিক রোজনামচায় মানুষের ক্রমবর্ধমান ব্যস্ততার পটভূমিতে স্কুলে ভর্তির ওয়েবসাইটে অভিভাবকদের জীবন কিছুটা মসৃণ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। ভর্তির পরের পদক্ষেপ কী হবে তাও অভিভাবককে নেট-মাধ্যমেই জানিয়ে দেবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে একই সঙ্গে ‘দ্য টেলিগ্রাফ ইন স্কুলস’ বা টিটিআইএস স্কুল ডিরেক্টরি ২০১৯-ও প্রকাশিত হয়েছে। ডাইরেক্টরি-তে পুস্তকাকারে স্কুল সংক্রান্ত সব তথ্য থাকছেই। এর সঙ্গে নেট-মাধ্যমে স্কুল-সংক্রান্ত খুঁটিনাটি খবর এবং ভর্তি প্রক্রিয়াও জারি হল। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা। তাঁরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেন্টালিস্ট রয় জ়াল্টসম্যান। অতিথিদের বিভিন্ন মনের কথা পড়ে ফেলে সবাইকে আনন্দ দেন তিনি।