ফারুক ছাড়াই এনআইএ-র কব্জায় ৫ জন

গ্রেফতার হলেও জঙ্গি-চাঁই আনোয়ার হোসেন ফারুক জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র আওতার বাইরেই থেকে গেল। তবে পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর হাতে ধরা পড়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বা জেএমবি-র পাঁচ সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে এনআইএ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

গ্রেফতার হলেও জঙ্গি-চাঁই আনোয়ার হোসেন ফারুক জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ-র আওতার বাইরেই থেকে গেল। তবে পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর হাতে ধরা পড়া জামাত-উল-মুজাহিদিন বা জেএমবি-র পাঁচ সদস্যকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে এনআইএ।

Advertisement

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, হেফাজতে পাওয়া পাঁচ অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ইউসুফ, আবুল কালাম, মহম্মদ রফিক, শহিদুল ইসলাম ও জবিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক কল্লোলকুমার দাস ওই পাঁচ জনকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনআইএ-র হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছেন। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বছর দুই আগেকার বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত ইউসুফ ও কালামের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ।

অসমের বাসিন্দা রফিক, উত্তর-পূর্ব ভারতে জেএমবি-র প্রধান শহিদুল এবং বাংলাদেশি নাগরিক জবিরুলের নাম চার্জশিট নেই। তবে ওই তিন জনও খাগড়াগড় মামলায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ছিল।

Advertisement

২৪-২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরাও করে কলকাতা পুলিশ। তার পরে তাদের জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। জামাতের ওই পাঁচ জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য এনআইএ ৯ অক্টোবর আদালতে লিখিত আবেদন করে। তার ভিত্তিতেই এ দিন ওই পাঁচ জনকে জেল থেকে আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের এনআইএ-র হেফাজতে পাঠিয়ে দেন।

সরকারি কৌঁসুলি তমাল মুখোপাধ্যায় ও সঞ্জয় বর্ধন এ দিন আদালতে অভিযোগ করেন ধৃত রফিক, শহিদুল ও জবিরুল আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। ইউসুফ ও কালামদের সঙ্গে তো বটেই, জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র অনেকের সঙ্গে দেশ জুড়ে নাশকতার ছক কষেছে তারা। আইনজীবীরা জানান, খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত ন’জন জঙ্গি এখনও ফেরার। ওই ন’জনের হদিস পাওয়ার জন্যও এই পাঁচ অভিযুক্তকে জেরা করা জরুরি।

অভিযুক্তদের হয়ে এ দিন কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। বিচারক সরকারি আইনজীবীদের বলেন, ‘‘রাজ্যের উচিত অভিযুক্তদের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা। লিগ্যাল এড সার্ভিসের মাধ্যমে আইনজীবী নিয়োগ করুন।’’

বাংলাদেশের যুবক আনোয়ার হোসেন ফারুক পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি-র মাথা। ওই পাঁচ জনের সঙ্গে প্রায় একই সময়ে ধরা পড়লেও তাকে কব্জায় পায়নি এনআইএ। কারণ, বাংলাদেশে বিভিন্ন হামলায় সে অভিযুক্ত হলেও এ-পার বাংলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্তের তালিকায় তার নাম নেই। এতে যে তাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে, এনআইএ সূত্রে তা জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন