berhampore municipality

দলের অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগে সরব বহরমপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান

নীলরতন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়েছিলাম। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, আমি ভুল করেছিলাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:০৮
Share:

নীলরতন আঢ্য— নিজস্ব চিত্র।

দলের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বেসুরো বহরমপুর প্রাক্তন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য। ২০১৬ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুর্শিদাবাদের ওই নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

Advertisement

সোমবার সকালে আসানসোল পুরসভার মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারি বেসুরো মন্তব্য করেছিলেন। বিকেলে সরব হলেন বহরমপুরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূল শিবিরে নাম লেখানো নীলরতন বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের অন্দরে কোণঠাসা বলেই দলীয় সূত্রের খবর। তিনি বলেন, ‘‘জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান শুধু টাকা বোঝেন। এখন বহরমপুর শহরে বেআইনি ফ্ল্যাট নির্মাণ, হাইড্রেন বন্ধ করে বাড়ি করা হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে বহরমপুর পুর এলাকা থেকে।’’

তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘সাংসদ আবু তাহের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোজগারের ব্যাবস্থা করে নিয়েছেন। মাসিক টাকা তুলছেন। অবৈধ আবাসন, জল নির্মাণ প্রকল্প করা হচ্ছে। এই শহরকে নষ্ট করা হচ্ছে। আমি তার প্রতিবাদ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়েছিলাম। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে, আমি ভুল করেছিলাম। আবু তাহেরের তোলাবাজির প্রতিবাদ করেছি বলে আজকে আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে পুরসভা ও বিধানসভা নির্বাচন দেখিয়ে দেবে, কে সঠিক।’’

Advertisement

দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নীলরতন বলেন, ‘‘আমি ৩৯ বছরের কাউন্সিলর। ১৮ বছর ধরে বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি তিন বছর হল তৃণমূল দলে যোগ দিয়েছে। কিন্তু এখন আমাকে সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয় না যা আমার আত্মসম্মানে লাগে। আজকে বলা হচ্ছে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি! অধীরের সঙ্গে আমার ৫০ বছরের বেশি সম্পর্ক। তাঁর সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করে কোনও অন্যায় করেছি বলে আমি মনে করি না।’’

নীলরতনের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘নীলরতন দীর্ঘ দু’বছরের আমাদের দলের কোনও কর্মসূচি তে যোগদান করেননি। তিনি আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন না। বহরমপুর শহরে দলীয় কার্যালয়েও তিনি আসেন না। আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন