মঞ্চ ভাঙার ফুটেজ নেই, গেরো পুনর্নির্মাণেও

প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে। উদ্যোক্তা বিজেপি এবং ডেকরেটর সংস্থার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা-সহ চারটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৩
Share:

উঁকি: মোদীর সভাস্থলের মাঠে নজর পড়ুয়াদের। মেদিনীপুরে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার ছাউনি ভাঙার মুহূর্তের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেই পুলিশের কাছে। ফলে ফাঁপরে পড়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিও। সমস্যা ঘটনার পুনর্নির্মাণে। এক তদন্তকারীর কথায়, ‘‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকলে ভাল ভাবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা যেত। আর পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে তদন্ত করলে পরে ‘মিসিং লিঙ্ক’ থাকারও সুযোগ থাকত না। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট বোঝা যেত।”

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে। উদ্যোক্তা বিজেপি এবং ডেকরেটর সংস্থার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা-সহ চারটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গোড়ায় পুলিশই এই মামলার তদন্ত করছিল। পরে পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিআইডির হাতে। সিআইডির ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর, ওই অফিসার প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ে মেদিনীপুরেই ছিলেন। তিনি বিভিন্ন দিক দেখভাল করেছেন। সবদিক দেখে তাঁকেই মামলার তদন্তকারী অফিসার করা হয়েছে। সিআইডি সূত্র জানাচ্ছে, ঘটনার দিন রাতেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এই অফিসার। প্রাথমিক ভাবে সিআইডিরও মনে হয়েছে, ছাউনি নির্মাণে চূড়ান্ত গাফিলতি করা হয়েছে। এর দায় উদ্যোক্তাদেরই। কারণ, ছাউনি নির্মাণের দেখভাল তারাই করেছে।

ঘটনার দিন সভা শুরু হয়েছে বেলা ১১টা নাগাদ। লোহার কাঠামোয় অনেকে উঠে পড়েছিল। সভার শুরুতে কাঠামোর উপরে লোকজন ছিল না। পরে উঠেছে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ থাকলে বোঝা যেত, ঠিক কোন সময়ে থেকে কাঠামোয় লোকজন ওঠা শুরু হয়। দুর্ঘটনার সময়ে পুলিশ কিংবা স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা কী, ঠিক কী ভাবে কাঠামো ভেঙে পড়ল সবই বোঝা যেত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই।

Advertisement

শুধু সিআইডি নয়। সমস্যায় পড়েছে ফরেন্সিক দলও। রাজ্যের এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ মানছেন, “দুর্ঘটনার মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ আমরা চেয়েছিলাম। এখনও পাইনি।” তাঁর কথায়, “চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা খুব দরকার ছিল।” সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না থাকায় সংবাদমাধ্যমের থেকে কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সভায় আসা লোকজন মোবাইলে ঘটনার ভিডিও তুলেছিলেন। কয়েকজনের কাছ থেকে সেই ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাকে সেই সব ফুটেজই দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন