ইউরোপের কবির অনুভবে এপ্রিল মাসের নিষ্ঠুরতার তাৎপর্য অন্য রকম।
উষ্ণ মণ্ডলের এ বঙ্গদেশে দহনজ্বালায় এপ্রিল নিষ্ঠুরতার ঝাঁপি সবে খুলছে। দহনের নিরিখে এ বার এখনও হয়তো নিষ্ঠুরতম হয়ে ওঠেনি সে। তবে ঝড়বৃষ্টির বিচারে তাকে ‘কৃপণতম’ বলাই চলে! এবং এই কৃপণতা নতুন বছরের শুরুতেও বজায় থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ, শুক্রবার বর্ষশেষের দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কাল, শনিবার বছর শুরুর দিনেও বাঙালির কপাল শুখা! নিয়মিত কালবৈশাখী হলে এটা হতো না। কিন্তু কালবৈশাখীর দেখা নেই।
আবহবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, কাশ্মীর ও হিমাচলের তুষারপাতের প্রভাবে মধ্য ভারত ও উত্তরপ্রদেশে তাপমাত্রা বাড়েনি। বিহার, ঝাড়খণ্ডেও তেমন মারাত্মক গরমের দেখা নেই এখনও। ফলে ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকা সে-ভাবে গরমই হয়ে উঠতে পারছে না। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, কালবৈশাখীর জন্য সাগরের জোলো হাওয়া দরকার। কিন্তু তা আসছে না। তার বদলে ঝাড়খণ্ডের শুকনো হাওয়া ঢুকে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করছে। আন্দামানের কাছে তৈরি নিম্নচাপটিও চলে যেতে পারে মায়ানমারের দিকে। তাই বৃষ্টির আশা আপাতত নেই।