রিভিউয়ে এত নম্বর বৃদ্ধির দায় ভোটেরই!

ফল ঘোষণার পরে রিভিউ ও স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করেন ৪৫ হাজার পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে ছ’হাজার পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৪৬
Share:

প্রতিটি বিষয়েরই উত্তরপত্র দেখা যাবে।—ফাইল চিত্র

উচ্চ মাধ্যমিকে খাতা রিভিউ করে ছ’হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর দায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মূল্যায়ন পদ্ধতির উপরেই চাপিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। তাঁদের কারও কারও অভিযোগ, নির্বাচনের কাজে শিক্ষকদের জড়িয়ে ফেলাতেই মূল্যায়নে ভুল হয়েছে।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন সাত লক্ষ ৪৪ হাজার ৫৭৫ জন। ফল ঘোষণার পরে রিভিউ ও স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করেন ৪৫ হাজার পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে ছ’হাজার পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে। অনেকেই একাধিক বিষয়ে রিভিউ ও স্ক্রুটিনি চেয়েছিলেন। সব বিষয় মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ আবেদন জমা পড়ে। কিছু বিষয়ে কারও কারও ১০ থেকে ১৫ নম্বর বেড়েছে। সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস জানান, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক এবং স্ক্রুটিনিতে যুক্ত শিক্ষকদের ডেকে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের তালিকা তৈরি করা হবে।

শিক্ষক-নেতা স্বপন মণ্ডল জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা যাচাইয়ের সময় মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণিরও খাতা দেখতে হয়েছে। তার উপরে নির্বাচনের কাজের চাপ প্রভাব ফেলেছে উত্তরপত্র পরীক্ষায়। তিনি জানান, ওই সময় দফতরে চিঠি দিয়ে বারবার জানানো হয়েছিল, নির্বাচনের কাজের সঙ্গে শিক্ষকদের যুক্ত করলে মূল্যায়নে তার প্রভাব পড়বে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তা-ই।

Advertisement

তবে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য জানান, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও প্রধান পরীক্ষকদের মূল্যায়ন পদ্ধতির গলদের জন্য এমনটা ঘটেছে। তিনি দাবি করেন, একই প্রশ্নের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও প্রধান পরীক্ষকেরা নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও পড়ুয়া সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেই নম্বর দেওয়া হবে। কোথাও আবার বলা হয়েছে, কোনও প্রশ্নের উত্তর সম্পূর্ণ ঠিক হলে তবেই মিলবে নম্বর। এই বিভ্রান্তিতেই নম্বরের হেরফের হয়েছে বলে তাঁর দাবি।

মহুয়াদেবী অবশ্য জানান, শিক্ষকদের এই মন্তব্যের সঙ্গে তিনি মোটেই একমত নন। আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘ভুলভ্রান্তি আগের থেকে অনেক কমেছে। আমরা চাই, পরীক্ষা পদ্ধতি একেবারে নির্ভুল হয়ে উঠুক। সেই চেষ্টাই করে চলেছে সংসদ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন