chandannagar

বন্ধ ইন্টারনেট, দুই মহকুমায় ভোগান্তি

সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা জানিয়ে ‘অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন বৃহস্পতিবার বন্ধ পরিষেবা চালুর দাবিতে জেলাশাসকের কাছে দরবার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২০ ০২:২৯
Share:

প্রতীকী চিত্র

তেলেনিপাড়া-কাণ্ডের জেরে গুজব রুখতে চন্দননগর এবং শ্রীরামপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এর জেরে দুই মহকুমার বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা জানিয়ে ‘অল বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরাম’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন বৃহস্পতিবার বন্ধ পরিষেবা চালুর দাবিতে জেলাশাসকের কাছে দরবার করেছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বক্তব্য, ভদ্রেশ্বরের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য ভাবে ইন্টারনেট বাহিত হয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পরিস্থিতি যাতে বিগড়ে না যায়, সে জন্য প্রশাসন অতিমাত্রায় সতর্ক। সেই কারণেই ন্যূনতম ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘তেলেনিপাড়ার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফিরতে বা এই জেলা থেকে নিজের রাজ্যে যেতে অনলাইন আবেদন, স্কুল-কলেজের পড়াশোনা— সব কিছুই ইন্টারনেট নির্ভর। চাকরির ক্ষেত্রেও অনেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাড়ি থেকে কাজ করছেন। নেট পরিষেবা না-পেয়ে এমন অনেকেই সমস্যায়। বৈদ্যবাটীর এনসি ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা প্রদীপ পাত্র জানান, রাজ্য সরকারের ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে ১০০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে জানতে পেরে তিনি অনলাইনে আবেদনের চেষ্টা করেছিলেন।

Advertisement

কিন্তু নেট পরিষেবা না থাকায় পারেননি। একই সমস্যায় পড়েন স্থানীয় অমরনাথ ঘোষও। এই শহরেরই বাসিন্দা, সফ্‌টওয়্যার ইঞ্জি‌নিয়ার তন্ময় চট্টোপাধ্যায় বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করছেন। নেট না থাকায় বুধবার থেকে তিনি কাজ করতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়ের পড়াশোনা অনলাইনে চলছিল। তা-ও বন্ধ।’’ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্কে লিঙ্ক না-থাকায় গ্রাহকদের ভোগান্তি হচ্ছে।

শ্রীরামপুরের দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় চটজাত সামগ্রী তৈরির ব্যবসা করেন। উৎপাদিত সামগ্রী মূলত বিদেশে যায়। তাঁর বক্তব্য, লকডাউনে প্রায় দেড় মাস কাজ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে দিন কয়েক আগে কাজ চালু হয়েছে। কিন্তু নেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের বিপত্তি। তিনি বলেন, ‘‘অর্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেলে কথা হয়। কিছুই করতে পারছি না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন