State News

কোনও নাম যেন বাদ না-পড়ে!

তালিকা সংশোধনী পর্বে ভোটার নিজের বুথে সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজনের জন্য আবেদনপত্র দিতে পারেন।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৫৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্র। তার সঙ্গেই রয়েছে এনআরসি জুজু। ফলে আমজনতা ভোটার তালিকা নিয়ে বাড়তি সতর্ক এবং সচেতন। বিভিন্ন সভায় নিয়ম করে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় তালিকা থেকে যাতে একটি নামও অকারণে বাদ না-পড়ে, সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে দিল রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। নাম কাটার দায়িত্ব ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ইআরও) উপরে বর্তাবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সিইও দফতরের কর্তারা।

Advertisement

ভোটার তালিকার বিশেষ সংক্ষিপ্ত সংশোধনী প্রক্রিয়া কাল, বুধবার (দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে) শেষ হবে। তার পরে রাজ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার কথা। এই পর্বে তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে (সাত নম্বর ফর্ম) প্রতিটি ধাপে সরাসরি নজর রাখতে হবে ইআরও-কে। একটি ধাপও যাতে ইআরও-র নজর এড়িয়ে না-যায়, তা দেখার জন্য সব জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে সিইও দফতর। সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন করে তালিকা প্রস্তুতিতে রাজ্য, জেলা, মহকুমা, ব্লক ও বুথ স্তরের অফিসারদের দায়িত্ব থাকে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন বিধানসভা-ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ইআরও। এক কমিশন-কর্তার কথায়, ‘‘ইআরও হলেন ভোটার তালিকার মালিক। তিনিই নথিপত্র দেখে নাম তোলা বা কাটার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।’’

তালিকা সংশোধনী পর্বে ভোটার নিজের বুথে সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজনের জন্য আবেদনপত্র দিতে পারেন। অনলাইনেও আবেদন করা যায়। সেই আবেদনে যাতে কোনও ‘ভুলচুক’ না-হয়, তা নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। গোটা প্রক্রিয়ায় তৃণমূল স্তরের দায়িত্ব বর্তায় বুথ লেভেল অফিসারের (বিএলও) উপরে। তাঁকেই অনলাইনে জমা পড়া আবেদনপত্রের ‘ফিল্ড ভেরিফিকেশন’ করতে হবে। তার পরে তা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য বিএলও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ঘরে-বাইরে নিন্দিত দিলীপ ‘গুলি’তে অটল

এমন পদক্ষেপ কেন? কমিশন-কর্তাদের মতে, বিএলও-দের বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি, তা বলা ঠিক হবে না। শুরুতে আসা সেই সব অভিযোগ অবশ্য এখন আর আসছে না। তবে ফিল্ড ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব থাকলে অবশ্যই বাড়তি চাপ পড়ে বিএলও-র উপরে। ফলে ফাঁকিবাজির সুযোগ থাকে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন