ফাঁকা রাস্তা।
বন্ধ ঘোষণার পরই রাস্তার নেমে কড়া হাতে তার বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছিল শাসকদল। জনজীবন স্বাভাবিক রাখার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল মোর্চার দিকে। পথে নেমে বন্ধের বিরোধিতা করা হবে বলে জানিয়েছিল আরও কয়েকটি সংগঠন। কিন্তু বাস্তবে ঘটল ঠিক তার উল্টোটাই। রবিবারের বন্ধে কিন্তু দেখা ঠিক উল্টো ছবি। মোর্চার ডাকা বন্ধে সকাল থেকে শুনশানই রইল ডুয়ার্স। বিরোধিতা তো দূর, বেলা ১২টা পর্যন্তও বনধ্ অচল করতে দেখা গেল না তৃণমূল বা অন্য কোনও নাগরিক সংগঠনকে।
আরও পড়ুন: ‘এত শক্তি ওরা পাচ্ছে কোথা থেকে?’
শনিবার পাহাড়ে গোলমাল এবং তার জেরে সমর্থকদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এ দিন ১২ ঘণ্টার ডুয়ার্স বনধের ডাক দিয়েছিল মোর্চা। সকাল থেকেই তার জেরে অচল হয়ে পড়ে জনজীবন। বনধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ডুয়ার্সের বীরপাড়া, চামূর্চি, বানারহাট এবং কালচিনিতে। বীরপাড়া এবং চামূর্চিতে কিছু চা বাগান খোলা থাকলেও রাস্তায় সরকারি বা বেসরকারি কোনও গাড়িরই দেখা মেলেনি। প্রায় সব দোকান বন্ধ। রাস্তায় পুলিশ এবং সেনা ছাড়া সাধারণ মানুষকেও তেমন ভাবে বেরোতে দেখা যায়নি। কালচিনি এবং বানারহাটে যান চলাচল একেবারে বন্ধ থাকলেও কিছু দোকান খোলা রয়েছে।
বীরপাড়ায় মোর্চার পিকেটিং
পরিস্থিতি যাতে কোনও ভাবেই উত্তপ্ত না হয়, তার জন্য রাস্তায় সেনা এবং আধাসেনা টহল দিচ্ছে। বীরপাড়াতে সকালের দিকে মোর্চার একটি মিছিল বের হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই পুলিশ তা আটকে দেওয়ায় মিছিল এগোতে পারেনি। বেশ কয়েক জায়গায় মোর্চার পিকেটিংও সরিয়ে দেয় পুলিশ।
অতীতেও ডুয়ার্সে বনধ্ ডেকেছিল মোর্চা। কিন্তু সেই বনধে তেমন প্রভাব পড়েনি। এ দিন কিন্তু দেখা গেল একেবারে বিপরীত ছবি।