পেশাদার: খাওয়ার আয়োজন। নিজস্ব চিত্র
ওঁরা এগারো জন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ছাতার তলে এসে কেউ সেলাই করতেন চুড়িদার-ব্লাউজ। কেউ হাঁস-মুরগি পালনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। দিন বদলেছে, ভোল বদলেছে তাঁদেরও। সেই এগারো জনের দল এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নারায়ণপুরে জাতীয় সড়কের ধারে ‘পথসাথী’তে। আগে যাঁরা শুধু ডাল-মাছ-তরকারি রান্না করতেন, তাঁদেরই হাতে এখন তৈরি হচ্ছে চিলি চিকেন, চিকেন বিরিয়ানি, মটন কষা, ফ্রায়েড রাইস থেকে শুরু করে নিরামিষ ও আমিষ খাবারের রকমারি পদ।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচলকারী বহু মানুষ রোজ ভিড় জমাচ্ছেন ‘পথসাথী’তে। রাজ্য সরকারের আবাসন দফতরের তরফে গড়ে তোলা পথসাথীর তদারকিতে রয়েছে জেলার গ্রামোন্নয়ন সেল। এখানে খাবারের সঙ্গে রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই পথসাথী পুরোপুরি পরিচালনা করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১১জন মহিলা।
এই এগারোর দলের তুলসী রাজবংশী, সন্ধ্যা রায়, ঝর্ণা দাস মণ্ডল, নিলুফা ইয়াসমিন, কাঞ্চন বিশ্বাস, প্রতিমা রাজবংশী, নাসিমা খাতুন, স্তুতি সরকার, মর্জিনা বিবি, সামিমা আখতার বানু ও স্বপ্না রায়রা জানালেন, দায়িত্ব দেওয়ার আগে জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের পক্ষ থেকে তাঁদের মালদহের হোটেলে রান্না, পরিবেশন সব কিছুরই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরে কলকাতা থেকে একটি সংস্থা এসে টানা ২৪ দিন তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তার পরই মে মাস থেকে তাঁদের যাত্রা শুরু হয়।
এখন তাঁরা পুজোর বাজার ধরতে মুখিয়ে আছেন। তাই আলু পরোটা, চিকেন পকোড়া, চিকেন-মটন বিরিয়ানি, মটন কষা, চিকেন স্যান্ডুইচ, চিকেন কাটলেট, পনির বাটার মশালা, চিকেন চাউমিন-সহ একাধিক ইন্ডিয়ান ও চাইনিজ খাবারের সঙ্গে স্পেশাল ডিশও রাখছেন। সেখানে ডাল, ভাত, বেগুনি, ফ্রাইড রাইস, ইলিশ পাতুরি, কাতলা কালিয়া, খাসির কষা মাংস রয়েছে। জেলা গ্রামোন্নয়ন শাখার প্রকল্প অধিকর্তা প্রশান্তকুমার গুহ ও রিসোর্স পার্সন সুব্রত ঘোষের আশা, পুজোর দিনগুলিতে এমন মেনুর টানে পথসাথীতে ভিড় আছড়ে পড়বে।