মালদহে জলবন্দি ১২ গ্রাম

যদিও রবিবার নদীর জল স্থিতিশীল বলে সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি না হলে জল ক্রমশ কমবে বলেই মনে করছেন সেচ দফতরের কর্তারা।

Advertisement

বাপি মজুমদার

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ০৮:০০
Share:

জলপথ: রতুয়ায় রাস্তায় নদী। চলছে ডোঙা, নৌকো। নিজস্ব চিত্র

ফুলহারের জলস্ফীতিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মালদহের রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরে সরকারি নৌকার দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। টানা চারদিন ধরে ফুলহার নদীর জলস্তর বাড়ায় ওই দু’টি ব্লকের ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকাগুলির প্রায় সমস্ত রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছে। ডুবেছে বেশ কিছু মাঠের ফসলও। ফলে একেই কাজ মিলছে না। তার উপরে নৌকা ভাড়া করে তাদের যাতায়াত করতে হলেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

যদিও রবিবার নদীর জল স্থিতিশীল বলে সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি না হলে জল ক্রমশ কমবে বলেই মনে করছেন সেচ দফতরের কর্তারা।

চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক ইশে তামাং বলেন, ‘‘এখনও তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। কোথাও যাতায়াতে সমস্যা, তা খতিয়ে দেখে নৌকার বিষয়টি আমরা দেখছি।’’

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রে জানা যায়, পাঁচ দিন আগেও নদীর জলস্তর ছিল ২৪.৩০ মিটার। কিন্তু শনিবার নদীর জল বেড়ে দাঁড়ায় ২৭.০৭ মিটারে। যা বিপদসীমা থেকে মাত্র ৩৬ সেন্টিমিটার কম।

উত্তরবঙ্গে নিয়মিত বৃষ্টি চলছে। সেই জল মহানন্দা হয়ে ফুলহারে এসে পড়ছে। আপার ক্যাচমেন্টের সেই জল নামতে শুরু করায় ফুলহারের জল বাড়ছে। তবে রবিবার নতুন করে আর নদীর জলস্তর বাড়েনি।

সেচ দফতরের মহানন্দা এমবেঙ্কমেন্টের নির্বাহী বাস্তুকার সুমিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জল নামতে থাকায় ফুলহারে জল বেড়েছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হলে এবার জল কমবে বলেই মনে হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।’’

ফুলহারের জল বাড়ায় এরমধ্যে নদীর উপচে পড়া জলে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মিহাহাট, উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, রশিদপুর ও কাওয়াডোল এলাকার বাসিন্দারা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর ওপারে অসংরক্ষিত ওই এলাকাগুলির রাস্তাঘাট জলে ডুবে গিয়েছে। একই অবস্থা রতুয়া ১ ব্লকের নিউ বিলাইমারি, ঘাসমারা, মেঘুটোলা, বঙ্কুটোলা, সম্বলপুর, আনন্দটোলা, বোধনটোলা এলাকার।

তবে ফুলহারের জলে এলাকাগুলির পথঘাট ডুবে যাওয়ায় যাতায়াতে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। টিনের তৈরি ডোঙা নিয়ে বিপজ্জনকভাবে, নয়তো নৌকা ভাড়া করে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান সুকেশ যাদব বলেন, বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলিতে নৌকা জরুরি। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন