এত দিন জেলা কমিটি হতো বড়জোর ৩৫-৩৬ জনের। তাতে থাকতেন ৪-৫ জন করে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক। বুধবার যে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করলেন যুব তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভাপতি বিকাশ সরকার, তাতে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে।
এই কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে জ্যোতিপ্রকাশ কানোরিয়াকে। তাঁর সঙ্গী হিসেবে সহ-সভাপতি রয়েছেন ২১ জন। এই একুশের অন্যতম সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর দুর্গা সিংহও। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ২৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে আছেন বিধাননগরের নেতা প্রণবেশ মণ্ডলও। সম্পাদক হয়েছেন ১৫ জন, সহকারী সম্পাদক ৩৩ জন।
আর কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা? ১৩৩! অর্থাৎ সাধারণ ভাবে কমিটি্র যে বহর হয়, তার প্রায় চার গুণ।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘সংগঠন বাড়ছে। তাই হয়তো বড় কমিটি করা হয়েছে।’’ বিকাশবাবুরও একই দাবি। তাঁর আরও বক্তব্য, কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাদের পদ দেওয়া হয়েছে। বিকাশ বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে। তিনি এত দিন অসুস্থ থাকায় তা ঘোষণা করাতে দেরি হল।’’
২০০৭-২০০৯ পর্যন্ত দার্জিলিং জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন মদন ভট্টাচার্য। সে সময় ৩৬ জনের কমিটি গড়েছিলেন। এর পরে প্রবীর রায়ের সময়ে ছিল ৩৫ জনের কমিটি। ২০১৫ সালে যুব তৃণমূল সভাপতি হয়ে রঞ্জন সরকার ৯০ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বিকাশ এঁদের সকলের রেকর্ডই ভেঙে দিলেন।
দলের একটি সূত্রই জানিয়েছে, যুব-র একটি গোষ্ঠী বিকাশের বিরুদ্ধে কিছু দিন আগে সক্রিয় হয়। পুরসভায় আন্দোলন করার সময় দুই পক্ষের কোন্দলও প্রকাশ্যে আসে। বিরোধী পক্ষের কিছু নেতাকেও তিনি কমিটিতে রেখে ক্ষোভ-বিক্ষোভ সামলাতে চেয়েছেন। তবে তাতেও একাংশ সন্তুষ্ট নয়।