জখম: হাসপাতালে নৃপেন কার্জি। —নিজস্ব চিত্র।
এসইউসিআই প্রভাবিত আলু-ধান-পাট চাষি সংগ্রাম কমিটির সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার বালিয়ামারিতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে কমিটির সম্পাদক নৃপেন কার্জি ও তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের সদস্য সিরাজুল হক জখম হয়েছেন। দু’জনই কোচবিহার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, নৃপেনবাবু সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “নৃপেনবাবুকে গ্রেফতারের পর পুলিশই হাসপাতালে ভর্তি করায়। আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে।”
এসইউসিআইয়ের অভিযোগ, এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ আলু-ধান-পাট চাষি সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে কোচবিহার-মাথাভাঙা রাস্তার বালিয়ামারিতে অবরোধ শুরু হয়। দশ টাকা কেজি দরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চাষিদের থেকে আলু কেনা, হিমঘরে আলু মজুত রাখার বন্ড সহজে বিলির ব্যবস্থা করার মতো ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। অবরোধ চলার সময়েই তৃণমূলের একদল সমর্থক হামলা চালান। নৃপেনবাবু সহ কয়েক জনকে মারধর করা হয়। তাঁর দাবি, পুলিশ কিন্তু আক্রান্তদের গ্রেফতার করেছে। এসইউসির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নেপাল মিত্র বলেন, “শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকেরা। নৃপেনবাবুর মাথা ফেটেছে। গলাতেও আঘাত লেগেছে। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে ৬৫ বছরবয়সী জখম নেতাকেই গ্রেফতার করেছে। উনি সুস্থ হলেই অভিযোগ জানান হবে।” নৃপেনবাবুর দাবি, বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ায় প্রাণে বাঁচেন।
তৃণমূলের ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, অবরোধ চলার সময়ে মোটরবাইক নিয়ে একাই বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সিরাজুল হক। রাস্তায় একা পেয়ে অবরোধকারীরা হামলা চালায়। তৃণমূলের কোচবিহার ১ ব্লক সভাপতি খোকন মিঁয়ার দাবি, “সিরাজুলের তিনটি দাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়।” পুলিশ জানিয়েছে, অবরোধের জেরে রাস্তায় আটকে পড়েন তৃণমূল নেতা। বাদানুবাদে উত্তেজনা ছড়ায়।