আদালত চত্বরে অভিযুক্ত। নিজস্ব চিত্র
২২ বছর আগে নাবালিকাকে ধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্তকে ১০ বছর কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা আদালত। এছাড়াও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে অপরাধীকে। অনাদায়ে আরও ছ’মাসের জেল।
১ অগস্ট ১৯৯৬ সালে অভিযুক্ত নিখিল রায়ের বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করত ১৪ বছরের নাবালিকাটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময় নির্যাতিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকাবার সহবাস করে অভিযুক্ত নিখিল। যার কারণে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে। এর পরে নাবালিকাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত। তার পরই নাবালিকার মা কোতোয়ালি থানায় কয়েক মাস পর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক ছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর অভিযোগের প্রায় ১৯ বছর পর ২০১৫ সালে সদর ব্লকের রংধামালি এলাকায় রাজকুমারি পাড়ার নিজের বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিচারাধীন আসামী হিসেবে ছিল সে।
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক চতুর্থ কোর্টের বিচারক ইয়াসমিন আহমেদ অভিযুক্ত নিখিলের সাজা ঘোষণা করেন বলে জানালেন সরকারি আইনজীবি দুলাল রায়। তিনি বলেন, ‘‘দশ বছরের কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল। নিখিল ২২ বছর বয়সে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল। এখন অভিযুক্তের বয়স ৪৫।’’