কৃষকভাতা ৬০ জনকে, লাইনে ২৮০০!

কৃষক ভাতা দেওয়া হবে ৬০ জন চাষিকে। কিন্তু মালদহের চাঁচল-১ ব্লক কৃষি দফতরে আবেদন করেছেন ২৮০০ জন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০১
Share:

কৃষক ভাতা দেওয়া হবে ৬০ জন চাষিকে। কিন্তু মালদহের চাঁচল-১ ব্লক কৃষি দফতরে আবেদন করেছেন ২৮০০ জন।

Advertisement

শুধু এখানেই নয়, মহকুমার ছ’টি ব্লকের ছবিটা প্রায় একই রকম। ভাতা পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন, তা রয়েছে বেশিরভাগ চাষিরই। ফলে এত আবেদনকারীর মধ্যে থেকে কাকে কাকে ভাতা দেওয়া হবে, তা বাছতেই পঞ্চায়েত সমিতিগুলির মাথায় হাত! ভাতা পাওয়ার আশায় চাষিদের তদ্বিরে নাজেহাল অবস্থা পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদেরও। এই পরিস্থিতিতে ব্লক পিছু উপভোক্তাদের কোটা বাড়ানো দাবিও উঠেছে।

প্রশাসন ও কৃষি দফতর সূত্রের খবর, কৃষকদের এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ তিন বিঘা জমি ও চাষির বয়স ৬০ হলে তিনি ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। চাষিদের কৃষি দফতরে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। গত নভেম্বরে সেই আবেদনপত্র জমার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু আবেদনের তুলনায় ব্লক পিছু যে কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তা সামান্যই বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনের এক কর্তা। চাঁচল-১ ব্লকে কৃষক ভাতার জন্য কোটা রয়েছে ৬০টি, চাঁচল-১ ব্লকে ৭১টি, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকে ৯০টি। কিন্তু প্রতিটি ব্লকেই কোটার তুলনায় প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রের খবর।

Advertisement

চাঁচল-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘কৃষি দফতর শুধু আবেদনপত্র জমা নিয়েছে। সেগুলি পঞ্চায়েত সমিতিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপভোক্তা তারাই নির্বাচন করবেন।’’

কিন্তু উপভোক্তা বাছাই করতে স্বজনপোষণের আশঙ্কা করছেন আবেদনকারী চাষিদের একাংশ। যদিও চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওবাইদুল্লা আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘‘স্বজনপোষণের প্রশ্নই নেই। তবে উপভোক্তার কোটার সংখ্যা বেশি থাকলে কিছুটা অন্তত

সুরাহা হত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন