হোমে কারও পাঁচ বছর কেটেছে, কারও প্রায় এক দশক। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জেদ রয়েছে সকলেরই। তার তাগিদেই হাজার সমস্যা সামলেও কোচবিহারের শহিদ বন্দনা স্মৃতি হোমের চার কিশোরী চালিয়ে গিয়েছে পড়াশোনা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে চলার আগে তাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে হোমের বাকিরাও।
ওই চার কিশোরী রুম্পি দেবনাথ, বর্ণালী বণিক, মনিকা বর্মন ও সাগরিকা মণ্ডল সকলেই বাবুরহাটের একটি স্কুলের ছাত্রী। ২০০৭ সাল থেকে রুম্পি, সাগরিকাস ও বর্ণালী ওই হোমে রয়েছে। মনিকা রয়েছে ২০১১ থেকে। ভবিষ্যতে পুলিশ হতে চায় মনিকা। রুম্পি, বর্ণালীদের ইচ্ছে নার্স হওয়ার। হোম কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেই তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়। পড়াশোনার সুবিধের জন্য হোম কর্তৃপক্ষের তরফে নিয়োগ করা হয়েছিল এক শিক্ষিকাকেও। এই চার আবাসিককে দেখে হোমের অন্যদের মধ্যেও পড়াশোনার উৎসাহ বেড়েছে বলে জানান হোমের সুপার।
আবাসিকদের এমন কৃতিত্বে খুশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহারের প্রতিনিধি তথা মাধ্যমিকের ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটির কর্তারা। পর্ষদের কোচবিহারের প্রতিনিধি মিঠুন বৈশ্য বলেন, “ওই ছাত্রীরা সত্যি প্রশংসার যোগ্য।’’ পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই ছাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ছাত্রীদের প্রশংসা করেছেন কোচবিহার জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার স্নেহাশিস চৌধুরীও।
হোমের এক আবাসিক জানিয়েছেন, বাংলা-সহ কিছু বিষয় পড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে হোমে। বিজ্ঞান ও অঙ্কেও সাহায্যের ব্যবস্থা থাকলে ভাল হতো বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা। এই বিষয়েও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।