অনলাইন প্রতারণা, গায়েব ৯৮ হাজার

দিন কয়েক আগেও অনলাইনে মোবাইল কিনে তার বদলে দুই টুকরো পাথর পেয়েছিলেন খোদ সাংসদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৬:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

অনলাইনে আগাম টাকা দিয়ে হেডফোন কিনেছিলেন। কিন্তু সেই অর্ডার বাতিল হয়েছে জানিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে গ্রাহকের কাছে ওটিপি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা ফেরত দূরের কথা, নিমেষের মধ্যে ওই গ্রাহক দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়েছে ৯৮ হাজার টাকা। একটি নামী অনলাইন বিপণন সংস্থার বিরুদ্ধে শনিবার এমনই প্রতারণার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন মালদহের যুবক। পেশায় দিনমজুর ওই যুবক অরুণ অধিকারী বলেন, ‘‘এ ভাবে যে সর্বস্ব হারাতে হবে ভাবতে পারিনি।’’

Advertisement

দিন কয়েক আগেও অনলাইনে মোবাইল কিনে তার বদলে দুই টুকরো পাথর পেয়েছিলেন খোদ সাংসদ। কয়েক দিন না কাটতেই ফের অনলাইন সংস্থার বিরুদ্ধে কৌশলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নামী অনলাইন সংস্থার নামে ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে প্রতারণা চলছে কি না, তদন্ত হওয়া উচিত তা নিয়েও। তবে সোশ্যাল মিডিয়া, পুলিশ এমনকি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলে দাবি করলেও কাউকে এটিএম কার্ডের নম্বর, পাসওয়ার্ড বা ওটিপি, ব্যাঙ্কের তথ্য না দেওয়ার জন্য প্রচার চালানো হয়ই। কিন্তু তার পরেও কেন গ্রাহক সেই ফাঁদে পা দিলেন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি সাইবার সেলকে জানানো হয়েছে। তারাই তদন্ত করবে।’’ জানা গিয়েছে, এই অনলাইন বিপণন সংস্থাটির বিরুদ্ধে এর আগেও কলকাতা-সহ একাধিক এলাকা থেকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা অরুণ দিনকয়েক আগে অনলাইনে একটি হেডফোন কেনেন। হেডফোনটি শুক্রবার দেওয়ার কথা ছিল। অরুণ জানান, শুক্রবার সেটি না পাওয়ায় এ দিন তিনি সংস্থার কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলে অর্ডারটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। খানিক বাদেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়ে অরুণের মোবাইলে ফোন আসে। তাঁর মোবাইলে পাঠানো ওটিপি জানাতে বলা হয়। সেই ওটিপি দেওয়ার পরেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ।

দিনকয়েক আগেই মোবাইল ফোনের বদলে পাথরের টুকরো ভরা বাক্স পেয়েছিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর অবশ্য মোবাইল ফেরত পান তিনি। পুলিশের প্রশংসা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও পুলিশ একই ভাবে যাতে সক্রিয় হন সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন।

এ দিন সাংসদ বলেন, ‘‘ওই দিনমজুর যাতে টাকা ফেরত পান তা নিয়ে পুলিশ সক্রিয় হবে, এটাই চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন