ছবি তুলে প্রশ্ন ফাঁস, ধৃত ছাত্র

পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর সাইবার থানায় মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শাহাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, আটক দু’জনকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। তাঁরা দু’জনই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ওই দু’জনকে জেরার জন্য বিধাননগরের সাইবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৮
Share:

ধরা: সিআইডির জালে মালদহের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। নিজস্ব চিত্র

মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষাতেও মোবাইলে ছবি তুলে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগে এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃত শাহাবুল আমিন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বিধাননগর সাইবার থানায় মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শাহাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, আটক দু’জনকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। তাঁরা দু’জনই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ওই দু’জনকে জেরার জন্য বিধাননগরের সাইবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা বাংলা ছিল। অভিযোগ, প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে ফাঁস করার অভিযোগ ওঠে রাজ্য জুড়েই। শুরু হয় তোলপাড়। জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় পর্ষদের পক্ষ থেকে বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ঘটনায় তদন্তে নামে সিআইডি। মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার দুইশতবিঘি মহব্বতপুর গ্রামের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

সিআইডি সূত্রে খবর, ওই প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মালদহ জেলার আরও দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে সোমবার ভোর রাতে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে এক ছাত্রের বাড়ি কালিয়াচক থানার নুরনগর গ্রামে। সে কালিয়াচক ১ ব্লকের জোতপরম হাইস্কুলের ছাত্র। তার পরীক্ষার সিট পড়েছিল বেদরাবাদ হাই স্কুলে। আরও এক আটক কিশোরও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের খাসখোল গ্রামে। সে খাসখোল হাইস্কুলের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছাত্র এবং পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল ব্লকেরই শান্তাদেব্যা হাইস্কুলে।

মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই মালদহ জেলা থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ জোরালো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জেলার এক ছাত্রকে গ্রেফতার ও আরও দু’জনকে আটক করায় পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপসকুমার বিশ্বাস। এদিকে সিআইডির মালদহ দফতরের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে মালদহ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মোবাইলে ছবি তুলে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জেলার বাসিন্দা এক ছাত্রকে গ্রেফতার ও দুই ছাত্রকে আটক করেছে সিআইডি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন