মেয়েকেই পাচার করার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। তবে তাঁর বোনের মেয়েই বাঁচিয়ে দিয়েছে। তাঁর জন্যই শেষ পর্যন্ত ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।
জলপাইগুড়ি শহরের কাছে কালিয়াগঞ্জের কার্যীপাড়া এলাকায় ওই তরুণী তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন৷ বাবা ভ্যানচালক৷ ভ্যানচালকের বোনের মেয়ে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মামাতো বোনকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন মামাই। তিনিই পুলিশকে জানান, হেমা নামে এক মহিলা ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার রাতেই হরিয়ানা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন৷ কিন্তু ওই দিন বিকালে বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন৷ এরপরই জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে খবর দেয় তারা৷
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সভাপতি প্রশান্ত সরকার জানান, ‘‘বিষয়টি জানার পরই আমরা কোনও মতে ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে ইন্দিরী গাঁধী কলোনীতে তাঁর তুতো বোনের বাড়িতে নিয়ে আসি৷ ফলে রাতে হেমা নামের ওই মহিলা তরুণীর বাড়িতে গিয়েও তার নাগাল পায়নি৷’’ প্রশান্তবাবুর কথায়, ‘‘আমরা নিশ্চিত পাচারের উদ্দেশ্যেই হেমা নামের ওই মহিলা তরুণীকে হরিয়ানা নিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল৷’’ তবে ওই তরুণীর বাবার বক্তব্য, ‘‘আমার মেয়ে খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন৷ দিন কয়েক আগে হেমা নামের ওই মহিলা এসে বলে সে আমার মেয়েকে হরিয়ানা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চায়৷ সেখানেই তার বিয়েও দেবে বলেছিল৷ আমি ভ্যানচালক৷ চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই৷ তাই রাজি হয়ে যাই৷’’ জলপাইগুড়ির পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ পাশাপাশি ওই মহিলার খোঁজও শুরু হয়েছে ৷