ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি ছ’কোটির

গত একসপ্তাহে দফায় দফায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে উত্তর দিনাজপুরের সাতটি ব্লকের ১১ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি টাকা। সোমবার জেলার ভারপ্রাপ্ত উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) আয়ুব আলি খান জেলাশাসকের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৬
Share:

গত একসপ্তাহে দফায় দফায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে উত্তর দিনাজপুরের সাতটি ব্লকের ১১ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি টাকা। সোমবার জেলার ভারপ্রাপ্ত উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) আয়ুব আলি খান জেলাশাসকের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তাতে ক্ষয়ক্ষতির এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

Advertisement

জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘শীঘ্রই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোর নাম ঘোষণা করা হবে।’’ সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কাছ থেকে সরকারি ক্ষতিপূরণের আবেদন নেওয়ার কাজও শুরু করবে। আবেদন খতিয়ে দেখে চাষিদের হাতে সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে।

জেলাশাসকের দাবি, ‘‘জেলার ন’টি ব্লকের বেশিরভাগ চাষি কৃষিবিমার আওতাভুক্ত হননি।’’ ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলে চাষিরা যাতে সহজেই ক্ষতিপূরণের টাকা পান, তার জন্য প্রশাসনের তরফে চাষিদের কাছে কৃষিবিমা করানোর আবেদন জানানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Advertisement

১৫ এপ্রিল ঘণ্টাখানের ধরে জেলাজুড়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়। ১৬-২২ এপ্রিল জেলার বিভিন্ন ব্লকে দফায় দফায় ঝড় ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন পঞ্চায়েত মিলিয়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান, দেড় হাজার হেক্টর জমির পাট, সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমির ভুট্টার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে এক হাজার হেক্টর জমির শসা, কুমড়ো, উচ্ছে-সহ নানা আনাজেরও।

জয়হাটের চাষি তসিরুদ্দিন সরকার জানান, শিলাবৃষ্টিতে তাঁর ১৫ বিঘা জমির ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন কাপাসিয়া এলাকার চাষি মমতাজ আলিও। তাঁর ১৬ বিঘা জমির পাট পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে দফায় দফায় শিলাবৃষ্টিতে। তাঁদের কথায়, ‘‘মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলাম। সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে না পেলে কী ভাবে দেনা মেটাব তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’

এ দিন ইটাহার ব্লকের জয়হাট, মারনাই, কাপাসিয়া ও ছয়ঘরা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের একাংশ সরকারি ক্ষতিপূরণের দাবিতে ইটাহারের জেলা পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেনের দ্বারস্থ হন। মোশারফবাবু চাষিদের সমস্যার কথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি পূর্ণেন্দু দে-কে জানানোর পর পূর্ণেন্দুবাবু জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে জেলার ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন