সিভিকদের উর্দি বানিয়েও টাকা মেলেনি, নালিশ

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারের দফতরে সম্প্রতি জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগে বিন্নাগুরির বাসিন্দা ইদ্রিস আনসারি নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, সেলাইয়ের কাজ করেই তাঁর সংসার চলে।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০২:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

থানার বড়বাবুর নির্দেশ বলে কথা! তাই কোনও কিছু না ভেবে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া থানা এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য শতাধিক ‘উর্দি’ বানিয়ে বিপাকে জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ির এক বাসিন্দা। অভিযোগ, এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, এখনও প্রায় অর্ধেক টাকাই হাতে পাননি তিনি৷ এমনকি, গত কয়েক মাসে বিষয়টি নিয়ে খোদ আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর৷ জেলার পুলিশ কর্তারা অবশ্য বলছেন, নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ জানালে অবশ্যই তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপারের দফতরে সম্প্রতি জমা দেওয়া লিখিত অভিযোগে বিন্নাগুরির বাসিন্দা ইদ্রিস আনসারি নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, সেলাইয়ের কাজ করেই তাঁর সংসার চলে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের মাসে বীরপাড়া থানার ওসির কথাতে সিভিকদের উর্দি বানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, থানার ওসি জানিয়েছিলেন, এপ্রিলে অর্ধেক টাকা ও মে মাসে বাকি অর্ধেক টাকা দেওয়া হবে৷ কিন্তু মোট পাওনার ৮০ হাজার ৪৬৬ টাকার মধ্যে ৪২ হাজার ৩৩০ টাকা মিললেও, এখনও ৩৮ হাজার ১৩৬ টাকা বকেয়া৷ ইদ্রিসের অভিযোগ, ‘‘বকেয়া বকেয়া টাকার জন্য শতাধিকবার বীরপাড়া থানাতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি।”

ইদ্রিস জানান, তিনি এর আগে ময়নাগুড়ি রেল পুলিশে জুতো, বেল্ট-সহ নানা ধরনের জিনিস সরবরাহের কাজও করেছেন৷ সেই সূত্রেই বীরপাড়া থানার ওসির কথায় ১১০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারদের পোশাক তৈরির দায়িত্বও নেন৷ তাঁর অভিযোগ, “আগে পুলিশের কাছে নানা ধরনের জিনিস সরবরাহে এত সমস্যা হয়নি৷ এ বারই প্রথম এমন সমস্যায় পড়লাম৷ আর এত টাকা বকেয়া থাকার জেরে আমার সংসার চালানোও দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷”

Advertisement

কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের একমাস আগে বীরপাড়া থানায় ওসির দায়িত্বে থাকা কার কথায় তিনি এই কাজ করেছিলেন? ইদ্রিস জানান, বর্তমানে কালচিনি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা অভিষেক ভট্টাচার্যই সেই সময় বীরপাড়া থানার ওসির দায়িত্বে থেকে তাঁকে পোশাক বানানোর কথা বলেছিলেন৷ যদিও অভিষেক বলেন, “যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন আমার বদলি হয়ে গিয়েছিল৷ আমি কাউকে সিভিকদের পোশাক তৈরির কথা বলিওনি৷ কেউ তেমন কাগজও দেখাতে পারবেন না৷ তবে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না৷” পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “এমন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি৷ কেউ নির্দিষ্টভাবে আমার কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলে, অবশ্যই তা খতিয়ে দেখব৷”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন