Women Trafficking

Arrest: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়ে পাচার! শিলিগুড়িতে আবার বিবাহ অভিযানে আসার পথে ধৃত ‘বর’

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ধৃত রাহুল আসলে অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে ঘাঁটি গেড়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ১৮:২৮
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ

বিয়ের সব আয়োজন হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে টাকাপয়সা, জামাকাপড় নিয়ে পালিয়ে হবু স্বামীর জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলেন কনে। এ দিকে, বরও কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পৌঁছেও গিয়েছিলেন রায়গঞ্জ। তার পরেই ঘটল অঘটন! মাঝ রাস্তায় গ্রেফতার হয়ে গেলেন ‘বর’। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু মেয়েকে পাচার করেছেন তিনি।

গত শুক্রবার রায়গঞ্জ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ভক্তিনগর থানা এবং রায়গঞ্জ থানা যৌথ উদ্যোগে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম রাহুল সরকার। তদন্তকারীদের দাবি, বিভিন্ন সময় নাম পাল্টে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁদের বিক্রি করেন তিনি। এ বারও নিজেকে ‘বিকি’ নামে পরিচয় দিয়ে একটি মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাহুল। তাঁর কথাতেই বাড়ি ছেড়ে ছিলেন মেয়েটি। পুলিশ জানায়, এটি রাহুলের ১৫ নম্বর ‘বিয়ে’ ছিল। রাহুলকে গ্রেফতারের পর মেয়েটিকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অবশ্য পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে মেয়েটির বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে।

Advertisement

পুলিশ সূত্র জানায়, ধৃত রাহুল আসলে অসমের কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা। সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে ঘাঁটি গেড়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। পুলিশের দাবি, রাহুলের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় নারী পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অনেক দিন ধরেই তিনি তদন্তকারীদের নজরে থাকলেও তথ্যপ্রমাণ হাতে আসছিল না। এ বার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথম থেকে রাহুলের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করে পুলিশের ‘সার্ভেল্যান্স টিম’। এর পর সুযোগ আসতেই রায়গঞ্জে এসে রাহুলকে গ্রেফতার করা হয়।

শিলিগুড়ির এসিপি ইস্ট শুভেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘রাহুল সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক থানায় নারী পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও ধর্ষণ ও অপহরণের মামলাও রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে। শিলিগুড়ি থানা, ভক্তিনগর থানা, মেটেলি ও হলদিবাড়ি থানাতেও ওঁর নামে অভিযোগ রয়েছে। ওঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ রাহুলকে গ্রেফতারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর সুত্রধর নামে আরও এক ব্যক্তির কথা জানতে পারে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁকেও। উত্তরের বাড়ি থেকেই তিন জন মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে বড় কোনও পাচারচক্র জড়িত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন