Kunki elephant

কাছে যেতেই কুনকির ধাক্কা চিকিৎসককে

সোমবার সকাল থেকেই চড়া রোদ ছিল। কিরণরাজ-সহ বাকি কুনকি হাতিদের সে রোদেই স্নান করিয়ে সাজিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি, গরুমারা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১০
Share:

বিশ্বকর্মা ঠাকুর পুজোর দিনে তার বাহন বন দপতরের পোষা ঐরাবত দের পুজো করে থাকেন মাহুত ও পাতা আলা দের পরিবার সোমবার গরুমারার রামসাইএ পুজো পেলো শিলাবতী, অরণ্য, রাজা, আমনা ও মাধুরী। ছবি দীপঙ্কর ঘটক

বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য সোমবার বন দফতরের কুনকি হাতিদের সাজানো হয়েছিল। শুঁড়ে আঁকা হয়েছিল তিলক। বন দফতর সূত্রের দাবি, সে সময়ে আচমকা গরুমারার ধূপঝোড়ার পিলখানায় কুনকি হাতি কিরণরাজের খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন প্রাণী চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল। শুঁড় দিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেয় কিরণরাজ। ছিটকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। বনকর্মীরা জানান, হাতিটি ওই চিকিৎসকের দিকে তেড়ে যেতে উদ্যত হতে, মাহুত এবং পাতাওয়ালা তাকে টেনে থামিয়ে দেন। অল্পের জন্য বিপদ থেকে বাঁচেন ওই চিকিৎসক। মাটিতে পড়ে তাঁর থুতনি এবং কাঁধে চোট লেগেছে। তবে এ দিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে এ নিয়ে ওই প্রাণী চিকিৎসক মন্তব্য করেননি।

Advertisement

এ দিন বিকেলে জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় আধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন ফোনে বলেন, ‘‘আমি ঘটনাস্থলেই রয়েছি। কেন এমন হল, হাতিটি কেন এ রকম আচরণ করল, ঠিক কী হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছি।’’

পশুপ্রেমীদের একাংশের প্রশ্ন, যে কোনও উৎসব বা অন্য ক্ষেত্রে প্রাণীদের খুব কাছে যাওয়ার প্রয়োজন কী? কেনই বা প্রশিক্ষিত মাহুত, পাতাওয়ালা বা বনকর্মী ছাড়া, অন্যদের প্রাণীদের কাছাকাছি যেতে দেওয়া হয়?

Advertisement

সোমবার সকাল থেকেই চড়া রোদ ছিল। কিরণরাজ-সহ বাকি কুনকি হাতিদের সে রোদেই স্নান করিয়ে সাজিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। ধূপঝোড়ার পিলখানার মাহুত সঞ্জিত রায় বলেন, ‘‘অনেক ক্ষণ রোদে ও দাঁড়িয়েছিল। তার পরে সকাল থেকে কিছু খায়নি। তাই একটু বিরক্ত ছিল। ওরাও তো মানুষের মতো। তবে পরে ঠিক হয়ে গিয়েছে। ধূপঝোড়ায় যে হাতিরা আছে সকলেই খুব শান্ত এবং মাথা ঠান্ডা।’’ ধূপঝোড়ার বিট অফিসার সুনীল বাড়ই বলেন, ‘‘বেশি লোক দেখলে হাতিরা একটু নড়াচড়া করতেই পারে। প্রাণী চিকিৎসকের তেমন আঘাত লাগেনি।’’

গরুমারা দক্ষিণ রেঞ্জের ধূপঝোড়া পিলখানায় সকাল থেকেই পুজোর প্রস্তুতি চলছিল। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন তার বাহন হাতিদেরও পুজো করার প্রথা দীর্ঘদিনের। পুজো দেখতে ভিড়ও জমতে শুরু করেছিল। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল।

আচমকাই তাল কাটে কুনকি হাতির মেজাজ বিগড়ে যাওয়া এবং প্রাণী চিকিৎসককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায়। পরে, ফের পুজো শুরু হলেও, কিরণরাজকে আর সকলের সামনে আনা হয়নি। পিলখানার ভিতরে তাকে আলাদা করে পুজো করা হয়।

পরিবেশপ্রেমী একটি সংগঠনের কর্তা সুজিত দাস বলেন, ‘‘হাতি ভিড় এড়িয়ে থাকতে ভালবাসে। কেউ খুব কাছে চলে গেলে, অনেক ক্ষেত্রে তা কিছুটা হলেও ওদের বিরক্তির কারণ ঘটাতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন