সুসজ্জিত: উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকলেও আসেননি ডালু ও মৌসম। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে নাম ছিল কংগ্রেসের দুই সাংসদের। ঘটনায় জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল মালদহের রাজনৈতিক দলগুলোয়। শনিবার সন্ধেয় ইংরেজবাজার পুরসভার আইটিআই মোড়ের ধ্বনি সহ রঙিন ফোয়ারার উদ্বোধনের দিকে নজর ছিল সকলের। যদিও শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে হাজির হননি কংগ্রেসের দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও মৌসম নুর। তাঁদের দাবি, ‘‘আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ দিন দলীয় কাজে ব্যস্ত ছিলাম।’’
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহে ব্যাপক ভরাডুবি ঘটে কংগ্রেসের। জেলা পরিষদ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনেও তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে কংগ্রেস। তাতেই শঙ্কিত জেলা কংগ্রেস শিবির।
কেন আশঙ্কা? দলের অন্দরের খবর, কংগ্রেসের দিকে বরাবরই থেকেছে সংখ্যালঘু ভোট। তবে এ বারের পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। একই সঙ্গে কংগ্রেসের ভাঙনও অব্যাহত জেলায়। এই সময়ই কলকাতায় গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ডালু। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় ডালু এবং মৌসম দলবদল করছেন। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতেও বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। ফলে জেলায় জোরালো হয় কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের তৃণমূল যোগের জল্পনা।
এমন অবস্থায় তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ডালু ও নুরকে। জানা গিয়েছে, পুরসভার সার্ধ শতবর্ষ অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে সাজানোর উদ্যোগ নেয় পুরসভা। আইটিআই মোড়কে সাজানো হয়। এ দিন সন্ধে ছটা নাগাদ উদ্বোধন ছিল। তাঁদের জন্য ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে পুরপ্রধান, উপ পুরপ্রধান উদ্বোধন সেরে নেন। উপ পুরপ্রধান দুলাল সরকার বলেন, ‘‘সাংসদ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে ওঁরা আসেননি।’’