তফশিলি জাতি শংসাপত্র জাল বলে অভিযোগ ওঠায় আগামী ২৯ এপ্রিল বিধায়ক তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (সমতল) সভাপতি শঙ্কর মালাকারকে ফের ডাকল শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসন। এর আগেও তাঁকে একবার শুনানিতে ডেকেছিল প্রশাসন। তবে পুরভোটের ব্যস্ততার কারণে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রশাসনের শুনানিতে যাওয়ার পক্ষে সম্ভব নয় বলে শঙ্করবাবু জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এর পরেই আগামী ২৯ এপ্রিল শঙ্করবাবুকে শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে শঙ্করবাবু এ দিন দাবি করেছেন, আগামী ২৯ এপ্রিল শুনানির বিষয়ে তিনি প্রশাসনের কোনও চিঠি পাননি। প্রশাসন সূত্রের খবর, শঙ্করবাবুর যদি ওই দিনে কোনও সমস্যার কথা জানান, তবে ফের শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।
শঙ্করবাবুর তফশিলি জাতির শংসাপত্র নিয়ে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তা নিয়ে অসঙ্গতি দূর করতেই শঙ্করবাবুকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে। অভিযোগের তদন্তে প্রশাসনের কাছে কয়েকটি বিষয় নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়েছে। সে সব বিষয়েই শঙ্করবাবুর থেকে জানতে চাওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। তবে কী ধন্ধ রয়েছে তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসন কিছু জানাতে চায়নি। বুধবার শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক দ্বীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘আগামী ২৯ এপ্রিল শুনানির আগে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’
শিলিগুড়ির মাটিগাড়া বিধানসভা আসনটি তফশিলি জাতি প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। গত বিধানসভা ভোটে শঙ্করবাবু ওই আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন। সম্প্রতি মাটিগাড়ার তৃণমূল নেতা গৌতম কীর্তনিয়া শঙ্করবাবুর শংসাপত্র বৈধ নয় বলে অভিযোগ করেন। শঙ্করবাবু পুরো বিষয়টিকে চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘পুরভোটের আগে শুনানিতে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরে ২৯ এপ্রিল শুনানির কোনও চিঠি পাইনি, এ বিষয়ে জানিও না। আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত হয়েছে। নানা মহল এতে ইন্ধন দিচ্ছে।’’ গৌতমবাবু বলেন, ‘‘শঙ্করবাবুর শংসাপত্র অবৈধ। এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করছি, প্রশাসন দ্রুত যথাযথ তদন্ত করে পদক্ষেপ করবে।’’