প্রশাসক বোর্ড বসল ধূপগুড়ি পুরসভায়। ছবি সংগৃহীত।
ধূপগুড়ি পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় প্রশাসক বোর্ড বসল। এই পুরপ্রশাসক বোর্ডের দায়িত্বভার গ্রহণ করলে বিদায়ী চার কাউন্সিলর।
মঙ্গলবার ছিল ধূপগুড়ি পুর বোর্ডের শেষ দিন। পুরবোর্ডের মেয়াদের শেষ দিনে পুরকর্মীদের তরফে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হল ধূপগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মণ এবং ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিংহকে। তাঁদের হাতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট হাতে তুলে দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশিস রায়, অভিজিৎ চক্রবর্তী এবং মৃণালকান্তি রায় প্রমুখ।
মঙ্গলবার শেষ হল ধূপগুড়ি পুরসভার চতুর্থ বোর্ডের মেয়াদ। ঠিক আগের দিন পুরকর্মীদের তরফ থেকে ষোলো জন বিদায়ী কাউন্সিলারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বোর্ড সভাতেও কর্মীদের পুজোর বোনাস-সহ বেশ কিছু দাবিদাওয়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সোমবার। সেই সঙ্গে আসন্ন পুজোর সময় জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা, পুরসভার উদ্যোগে শারদ সম্মান প্রদান, দশমী মেলা ও কার্নিভালের আয়োজন করা নিয়ে মঙ্গলবার বোর্ডের শেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর, পুরসভা চালানোর জন্য সাময়িক ভাবে মহকুমা শাসকের হাতে দায়িত্বভার না দিয়ে চার সদস্যের পুরপ্রশাসক বোর্ডের হাতেই সে দায়িত্ব চলে গেল। পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন ভারতী বর্মণ, ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহ এবং দু’জন সদস্য রাখা হয়েছে এই কমিটিতে। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর দুই সদস্য হলেন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ দে এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক বর্মণ।
তবে প্রশাসক বোর্ড বসায় আগামী পুরভোট নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন এই পরিস্থিতিতে আগামী নভেম্বর মাসের আগে আর পরবর্তী পুরনির্বাচন সম্ভব নয়। তবে নভেম্বরে সারা রাজ্যেই ভোটার তালিকায় সংশোধন শুরু হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে পুরভোট কী ভাবে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তা ছাড়া, নভেম্বরের পরেই শীতের মরসুম ভোটের জন্যে অনুপযুক্ত বলেই মনে করা হয়। আগামী বছরের গোড়া থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রশাসনিক প্রস্তুতি শুরু হবে। সব মিলিয়ে আগামী পুরবোর্ড নিয়ে জল্পনা চলছেই।
ধূপগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারপার্সন ভারতী বলেন, ‘‘আজ আমাদের পুর বোর্ডের শেষ দিন ছিল। কর্মচারীদের তরফে আমাদের সংবর্ধনা জানানো হল। আগামিকাল থেকে পুর প্রশাসক বোর্ড বসছে এই পুরসভায়। পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের নামের তালিকা ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। চার জনকে সেই সদস্য করা হয়েছে।’’
যদিও বিদায়ী বোর্ডের বিরোধী দলনেতা কৃষ্ণদেব রায়ের দাবি, ‘‘জল থেকে জঞ্জাল, সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার নজির সৃষ্টি করে গেল এই পুর বোর্ড। স্বল্প ক্ষমতা নিয়েও আমরা পাঁচ বছর নিয়মিত এর প্রতিবাদ করে গিয়েছি। চরম ব্যর্থতা ঢাকতেই আধিকারিকের বদলে তৃণমূল নেতাদের দিয়ে বোর্ড বানিয়ে পুরসভার মাথায় বসিয়ে নির্বাচন অনির্দিষ্ট কালের জন্যে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এর বিরুদ্ধেও আমরা পথে নামব।’’