তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগে রায়গঞ্জে মহাত্মা গাঁধী রোডে অবরোধ বিজেপির।ছবি: গৌর আচার্য,
এক জন পুরসভা এলাকায় ঘুরে ও অন্য জন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ভোট করালেন। প্রথম জন রায়গঞ্জ পুরসভার বিদায়ী কংগ্রেস চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্ত। অন্য জন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য।
অমলবাবু ইটাহারের বাসিন্দা। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী পুরসভা নির্বাচন চলাকালীন পুর এলাকায় বাইরের কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা থাকতে পারেন না। তাই তিনি শহরে ঢোকেননি।
রায়গঞ্জের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনগর এলাকার বাসিন্দা বিধায়ক মোহিতবাবু এ বারেও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর নিজের ওয়ার্ডটি ২০১১ সাল থেকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ নিজের ওয়ার্ডের বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যান মোহিত। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন একদা মোহিতেরই রাজনৈতিক শিষ্য অভিজিৎ সাহা ওরফে বাপি। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলের কিছু কর্মীর সঙ্গে ওই ওয়ার্ডের দেবীনগর পোস্টঅফিস মোড় এলাকার রাস্তার ধারে বসেছিলেন তিনি। সকাল থেকেই মোহিতের মোবাইল ফোন ঘন ঘন বেজে ওঠে। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলের নেতা কর্মীরা তাঁর কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, বুথদখল ও ছাপ্পাভোটের অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তা শুনে মোহিত হতাশ হয়ে পড়েন। দুপুর একটা নাগাদ তিনি দলের জেলা কার্যালয়ে চলে যান। মোহিত বলেন, ‘‘পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বার বার ফোন করেও সাড়া মেলেনি। আমার উপরেও দুষ্কৃতীরা বোমা নিয়ে হামলা চালানোর ছক করেছিল। তৃণমূল ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি বুথ দখল করার পর দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যাই।’’
অভিজিতের পাল্টা দাবি, ‘‘গত পাঁচ বছর মোহিতবাবু ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। তাই এ বার বহিরাগত মোহিতবাবু পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই পালিয়ে যান।’’ অন্য দিকে, অমলবাবু এ দিন ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কমলাবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুদর্শনপুর এলাকার একটি বেসরকারি ভবনে বসে মোবাইল ফোনেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনের খবরাখবর নিয়েছেন। অমলের বক্তব্য, সারা দিন ২৭টি ওয়ার্ড থেকেই দলের প্রার্থী, নেতা ও কর্মীরা তাঁকে ফোনে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে বুথজ্যাম, ছাপ্পাভোট, ইভিএম ভাঙচুর ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ জানিয়েছেন।