বীরপাড়ার বাসিন্দা সমীর বাঁশফোর ও কাজল বাঁশফোর রবিবার রাতে দাবি করেছেন, তাঁদের শিশুকন্যাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল চন্দনা চক্রবর্তীর হোমে। এ দিন তাঁরা দাবি করলেন, আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি হোমের একটি শিশুকন্যাই তাঁদের মেয়ে। চন্দনাকে গ্রেফতারের পরে সম্প্রতি আশ্রয় হোম থেকে যে শিশুকন্যাদের অন্য হোমে পাঠানো হয়, তাদের ছবি দেখানো হয়েছিল বাঁশফোর দম্পতিকে। তখনই নিজেদের মেয়েকে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন সমীর ও কাজল। তবে ওই শিশুর নাম তাঁদের মেয়ের নামের সঙ্গে মিলছে না। প্রশাসনের আশঙ্কা, ওই শিশুটির নাম বদলে দেওয়া হয়েছিল।
সমীরবাবুর দাবি, প্রায় ছ’মাস আগে ভিড়ে তাঁদের নয় বছরের ছেলে হারিয়ে গিয়েছিল৷ শিলিগুড়ির একটি হোমে তাকে রাখা হয়েছে বলে জানতে পারেন তারা৷ কাজল বাঁশফোর তার তিন বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে ছেলেকে ছাড়াতে ওই হোমে যান৷ কিন্তু অভিযোগ, সেখানে তাঁদের আটকে রাখা হয়৷ তারপরে ওই রাতেই তাঁদের জলপাইগুড়িতে চন্দনার আশ্রয় হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেছেন ওই দম্পতি৷ তাঁদের অভিযোগ, এরপরে কাজল ও তাঁর মেয়েকে আলাদা আলাদা হোমে রাখা হয় বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
এরপরে সিডব্লিউসিকে সব কথা জানানোর পরে তাঁরা চন্দনার হোম থেকে ওই শিশুকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সে কথাও আশ্রয় হোম কর্তৃপক্ষ মানেননি বলে অভিযোগ। এরপরে রবিবার তাঁরা জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক রচনা ভগতের সঙ্গে দেখা করেন তারা৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, সেখানেই মাস খানেক আগে চন্দনার হোম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া পনেরোটি শিশুর ছবি দেখানো হয় তাঁদের৷ বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি হোমে রাখা হয়েছে তাঁদের। জেলাশাসক রচনা ভগত জানিয়েছেন, ‘‘কেন ওই মহিলাকে তাঁর সন্তান সহ আটকে জলপাইগুড়ির হোমে পাঠানো হল, তা তদন্ত করে দেখা হবে৷’’