TmC

ফের কোন্দল, আশঙ্কা দলে

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, আগেও একসঙ্গে চলার বার্তা একাধিকবার দুই জেলায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি। দুই জেলাতেই নানা বিষয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা সামনে এসেছে।

Advertisement

অরিন্দম সাহা ও পার্থ চক্রবর্তী

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫১
Share:

ফাইল চিত্র

ব্লক কমিটির সভাপতিদের নাম ঘোষণা, সাংগঠনিক রদবদলের জেরে কী অবস্থা হবে তা নিয়ে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার তৃণমূলে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দুই জেলা নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে কোচবিহারে নতুন ব্লক কমিটি গঠন, আলিপুরদুয়ারের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। তার জেরেই ওই দুটি বিষয়ে গুঞ্জন নতুন মাত্রা পেয়েছে। কর্মীদের একটা বড় অংশের আশঙ্কা, কমিটি ঘোষণা ও রদবদলের কোনও ঘোষণা হলে দুই জেলায় ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে। বিশেষ করে নিচুতলায়। যদিও কোনও কোনও নেতা মনে করছেন, সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ যা কিছু হতে চলেছে সবই দলনেত্রীর সবুজ সঙ্কেতের ভিত্তিতেই।

Advertisement

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, আগেও একসঙ্গে চলার বার্তা একাধিকবার দুই জেলায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি। দুই জেলাতেই নানা বিষয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা সামনে এসেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে দলের প্রার্থীর পরাজয়ের পর তৃণমূলের ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। দু’বার জেলা সভাপতি পদে বদল হয়েছে। কিন্তু ব্লক কমিটি ঘোষণা হয়নি। কমিটিতে নিজেদের পছন্দের লোককে সভাপতি চাইছেন বিভিন্ন নেতারা, এমন গুঞ্জনও রয়েছে। তাই নাম ঘোষণা নিয়ে কোন্দলের আশঙ্কা থাকছেই। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেই দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুক্ষেত্রে রদবদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন বলে জানা গিয়েছে। শেষপর্যন্ত রদবদল হলে ভোটের আগে গোষ্ঠীকোন্দল বৃদ্ধির আশঙ্কা অনেকের।কোচবিহারের কোঅর্ডিনেটর উদয়ন গুহ অবশ্য বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কোনও বিষয়ে কারও ক্ষোভ হলে তা ক্ষণিকের বিষয়। সবার আগে দল।”

তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “দলে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও জায়গা নেই। রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের ‘সোর্সে’ সব খবর নিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সকলকেই তা মানতে হবে।”তৃণমূল সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হারের পর মোহন শর্মার বদলে মৃদুল গোস্বামীকে দলের জেলা সভাপতি করে শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, এরপরই মোহন শর্মা ও তাঁর অনুগামীরা দলের অন্দরে কোণঠাসা হতে শুরু করেন। তিনটি ব্লকে সভাপতি বদল করা হয়। দলের অন্দরে মোহন শিবিরের বিরোধী বলে পরিচিত পাসাং লামা জেলা কোঅর্ডিনেটর হতেই জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। কালচিনি ব্লক সভাপতি থেকে পদত্যাগ করেন মোহনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অসীম মজুমদার। ফলে ফের দলে রদবদল হলে কোন্দল আরও বাড়বে বলেই ধারণা তৃণমূলের অনেকের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন