শিক্ষকদের তালা, ক্ষোভ পড়ুয়াদের

স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের একাংশও নিয়মিত স্কুলে না আসায় ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনায়। ওই অভিযোগ তুলে শিক্ষকদের কমনরুমে আটকে তালাবন্ধ করার পর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৫
Share:

স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের একাংশও নিয়মিত স্কুলে না আসায় ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনায়। ওই অভিযোগ তুলে শিক্ষকদের কমনরুমে আটকে তালাবন্ধ করার পর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা।

Advertisement

সোমবার মালদহের রতুয়ার দেবীপুর আরএল সাহা হাইস্কুল খোলার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক-সহ বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কমনরুমে ঢুকতেই বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই স্কুলের সামনে ভালুকা-রতুয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘণ্টা দেড়েক বাদে দুপুর সাড়ে বারোটায় পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠলেও শিক্ষকদের ছাড়তে রাজি হয়নি পড়ুয়ারা। প্রশাসনের কর্তারা স্কুলে না আসা পর্য়ন্ত শিক্ষকদের ছাড়া হবে না বলে হুমকিও দেয় তারা। পরে প্রশাসনের নির্দেশে স্কুলে যান রতুয়া নতুন চক্রের ভারপ্রাপ্ত এসআই (প্রাথমিক) বৈশাখী রায়। শিক্ষক ও পড়ুয়াদের নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি। স্কুলের পঠন-পাঠন স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দেওয়ার চার ঘণ্টা বাদে দুপুর তিনটেয় ছাড়া পান শিক্ষকরা।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘স্কুলে শিক্ষকরা না আসলে তো পড়াশুনা ব্যাহত হবেই। এ সব বরদাস্ত করা যাবে না। ওখানে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’ রতুয়া ১-এর বিডিও নীলাঞ্জন তরফদার বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের বুঝিয়ে পুলিশ অবরোধ তুললেও পড়ুয়ারা শিক্ষকদের আটকে রেখেছিল। তাই এসআইকে (প্রাথমিক) পাঠানো হয়। স্কুলে পড়াশুনা স্বাভাবিক হবে বলে শিক্ষকরা আশ্বাস দেওয়ায় পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’’ স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ-মাধ্যমিক ওই স্কুলে ১৬০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। পার্শ্বশিক্ষক মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ২৭ জন। শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও শিক্ষকদের একাংশ নিয়মিত ক্লাস নেন না বলে অভিযোগ।

Advertisement

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইলারানি সিংহ বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের অভিযোগ পুরোপুরি ঠিক নয়। তবে শিক্ষকদের একাংশ ক্লাস নেন না বলে পড়ুয়াদের অভিযোগ রয়েছে। এমন ঘটনা যাতে না হয় তা দেখছি। আর আমি অসুস্থ থাকায় তিনদিন স্কুলে আসতে পারিনি।’’ স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি অশ্বিনী সিংহ বলেন, ‘‘শীঘ্রই পরিচালন সমিতির সভা ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন