টাকা দিক রাজ্যই, চায় এআইআই

বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমি কিনে অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারকে আবেদন করতে চলেছে এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া (এআইআই)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮ ০২:৩২
Share:

বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য জমি কিনে অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারকে আবেদন করতে চলেছে এয়ারপোর্ট অথারিটি অব ইন্ডিয়া (এআইআই)। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, বাগডোগরার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য ৯০ একর জমি প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্য জমি অধিগ্রহণ করে দিলেও চা বাগান কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এএআই-কে। রাজ্য বিমানবন্দরের জন্য জমি কিনবে না। এতে বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিকাঠামো বাড়ানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।

Advertisement

সম্প্রতি কলকাতায় এএআই তরফে বৈঠক করে ঠিক করা হয়, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বলা হবে। বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুজিত কুমার পোদ্দার বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। রাজ্যকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বলা হচ্ছে বলে শুনেছি। এএআই নিজে জমি কিনে কোথাও প্রকল্পের কাজ করে না।’’

এএআই-র অফিসারদের দাবি, দেশের যে কোনও প্রান্তে বিমানবন্দর তৈরি বা সম্প্রসারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জমি রাজ্যই ব্যবস্থা করে। সরকারি এবং বেসরকারি হাতে থাকা জমি সরকার ক্ষতিপূরণ দিয়ে অধিগ্রহণ করে এএআই-কে হস্তান্তর করে দেয়। তার পরেই সামগ্রিক পরিকাঠামো তৈরির কাজ করা হয়। তা ছাড়া বিমানবন্দরের কাজ হলে তা সে রাজ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজেই লাগে। সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এমনকি, বাগডোগরার আইএলএস পরিষেবার জন্য রাজ্যই প্রায় ২৩ একর জমির ব্যবস্থা করেছিল।

Advertisement

বাগডোগরা বিমানবন্দরে গত বছর আইএলএস পরিষেবা (ক্যাট-২ প্রযুক্তি) চালু হয়েছে। কিন্তু ৭ লক্ষ যাত্রীর জন্য তৈরি টার্মিনাল ভবন নিয়েই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অফিসারদের কথায়, ‘‘বছরে যাত্রী সংখ্যা ২২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন নতুন টার্মিনাল ভবন না হলে আরও সমস্যা বাড়বে।’’ রাজ্যের যুক্তি, বিমানবন্দরের সামনে চা বাগান রয়েছে। সেটি লিজ জমি। সেটির লিজ ফিরিয়ে নিলেও চা গাছ, বড় গাছ, আর্থিক ক্ষতিপূরণ মিলিয়ে বিরাট অঙ্কের টাকা মালিকপক্ষকে দিতে হবে। রাজ্যের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই রাজ্য জমিটি শুধু অধিগ্রহণ করবে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ একর মতো জমি হলেই হবে। এএআই প্রকল্পের খরচ হিসাবে বরাদ্দ টাকা থেকে তা দিয়ে দিতে পারে। বাগান মালিক অজিত অগ্রবাল বলেন, ‘‘বাজার দরে ক্ষতিপূরণের কথা বললে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু কেউ আমাদের সঙ্গে এখনও কথা বলেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন