স্বীকৃতি: পুরস্কার হাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক পালদেন শেরপা। মঙ্গলবার, কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র
কন্যাশ্রীতে রাজ্যে সেরা হল আলিপুরদুয়ার জেলা। মঙ্গলবার কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, নদিয়া ও কোচবিহার জেলাকে হারিয়ে সেরা হয়েছে আলিপুরদুয়ার৷
রাজ্য সেরা হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই জেলা প্রশাসনের অন্দরে এখন খুশির হাওয়া। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে কে-ওয়ান ও কে-টু, দু’টি বিভাগে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলিপুরদুয়ার জেলার মেয়েদের কন্যাশ্রীর অনুদান প্রদান করা হয়েছে। আর সেজন্যই রাজ্যসেরা হয়েছে এই জেলা। কে-ওয়ানের আওতায় বছরে ৭৫০ টাকা ও কে-টুর আওতায় ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গত বছর কে-ওয়ানে একচল্লিশ হাজার একশো আটষট্টি জন ও কে-টুর আওতায় সাত হাজার সাতশো পঁচাশি জন মেয়ে কন্যাশ্রী পেয়েছে। চলতি বছরে কে-ওয়ানের আওতায় ২২ হাজার ৩৮৫ জন অবং কে-টুর আওতায় ২৮৩ জন এখনও পর্যন্ত কন্যাশ্রী পেয়েছে। এই সংখ্যা বছরের শেষে আরও বাড়বে বলে খবর।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প রূপায়নে রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে আলিপুরদুয়ার প্রথম হয়েছে৷ মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ওই পুরস্কার নেন অতিরিক্ত জেলাশাসক পালদেন শেরপা। পালদেন শেরপা জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘ভাল কাজ করছেন। আরও ভাল করে কাজ করুন।’ তিনি বলেন, ‘‘আগে যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে থাকত, তারাই কন্যাশ্রী পেত। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এখন থেকে সমস্ত মেয়েরাই
কন্যাশ্রীর আওতায় আসবে। তা ছাড়া, স্নাতক স্তরের পরে কেউ পড়াশোনা করতে চাইলে তাদের কে-থ্রির অধীনে আনা হবে।’’
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানান, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ফালাকাটার পড়ুয়া ফারজিনা খাতুনকে বিশেষ পুরস্কার দেন। ফারজিনা নিজের বিয়ে রুখে মাধ্যমিকে ভাল ফল করেছে। এ দিন আলিপুরদুয়ার জেলার কাদম্বিনী চা বাগানে জেলার কন্যাশ্রী অনুষ্ঠান হয়। সেখান বেশ কয়েকজন কন্যাশ্রীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া, আলিপুরদুয়ার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুরসভা এলাকার স্কুলগুলিকে নিয়ে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। সেখানে আবৃত্তি পাঠ, গান ও নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় মেয়েরা। অনুষ্ঠান শেষে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।