Due Taxes at Alipurduar Municipality

পুরকর না মেটালে আইনি পদক্ষেপ, হুঁশিয়ারি পুরসভার

পুরকর্তারা জানান, পুরসভা আইন মেনে কর আদায় করা হয়। সংগৃহীত অর্থ পুরসভার নানা কাজে ব্যবহার হয়। ব্যবহার হয় উন্নয়নমূলক কাজেও।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ০৫:২৪
Share:

আলিপুরদুয়ার পৌরসভা। নিজস্ব চিত্র।

অর্থের অভাবে অনেক কাজ বছরভর ঠিক মতো করা যায় না বলে অভিযোগ। অথচ, বকেয়া পুরকর দশ কোটি টাকায় ছুঁয়েছে। পরিস্থিতি পাল্টাতে এ বার কড়া হতে চাইছেন আলিপুরদুয়ারের পুরকর্তারা। দু’বার নোটিস পাওয়ার পরেও যাঁরা কর পরিশোধে করেননি, আরও এক বার নোটিস দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার পুরসভায় কর আদায়ের সমস্যা নতুন নয়। বছরের পর বছর শহরবাসীদের একাংশ পুরকর জমা দিচ্ছেন না। সেই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, একাধিক সরকারি দফতরও।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে এমনও অনেক বাড়ি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখান থেকে বছরের পর বছর ধরে পুরকর মিলছে না। আর তার জেরেই আলিপুরদুয়ার পুরসভার বকেয়া কর প্রায় দশ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

পুরকর্তারা জানান, পুরসভা আইন মেনে কর আদায় করা হয়। সংগৃহীত অর্থ পুরসভার নানা কাজে ব্যবহার হয়। ব্যবহার হয় উন্নয়নমূলক কাজেও। তবে প্রায় দশ কোটি টাকার মতো পুরকর বকেয়া থাকায় অনেক কাজে সমস্যা হচ্ছে। যদিও এর ফলে পুরপরিষেবায় কোনও ঘাটতি নেই বলেই দাবি পুরকর্তাদের।

পুরসভার কর্তারা জানান, বছরের পর বছর ধরে পুরকর যাঁরা জমা দিচ্ছেন না, তাঁদের অনেককে দু’বার করে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কাউকে এক বার। নোটিস পেয়ে অনেকে কর পরিশোধ করেছেন। তবে একটা বড় অংশের ক্ষেত্রে এখনও কর বকেয়া। একই ভাবে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল-সহ একাধিক সরকারি দফতরেরও পুরকরের প্রচুর টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের বকেয়া পুরকর এক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেই কর দ্রুত পরিশোধের চেষ্টা চলছে। পুরকর্তারা এমনও জানাচ্ছেন, কয়েকটি বাদ দিয়ে বাকি সরকারি দফতর সময়ে পুরকর দিচ্ছে।

বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার পুরসভা যে হারে পুরকর বাড়িয়েছে, সেই অনুপাতে পরিষেবা দিতে পারছে না। আলিপুরদুয়ার পুরসভার পুরপ্রতিনিধি কংগ্রেসের শান্তনু দেবনাথ বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার পুরসভা যে হারে পুরকর বাড়িয়েছে, সেই অনুপাতে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ। তাই হয়তো শহরবাসীর একাংশ পুরকর দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তবে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর কেন পুরসভাকে কর দিচ্ছে না, সেটা ভাবার বিষয়।’’

কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধির অভিযোগ মানতে নারাজ আলিপুরদুয়ারের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ কর। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এখনও বকেয়া কর মেটাননি, তাঁদের ফের নোটিস দেওয়া হবে। তাতে পরিস্থিতি না-বদলালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement