রেলের রেকর্ডে ক্ষুব্ধ বিজেপি

দলগাঁও স্টেশন থেকে ডলোমাইট লোডিং বন্ধের দাবিতে দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন করে আসছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০৪:২৩
Share:

রেলের ওয়াগনে তোলা হচ্ছে জলোমাইট। —ফাইল চিত্র

ডলোমাইট লোডিং করার ক্ষেত্রে এক দিনে পৌনে দু’কোটি টাকা আয় করে রেকর্ড গড়ল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন। গত শুক্রবার দলগাঁও স্টেশনে এই রেকর্ড আয় করে রেল। যে দলগাঁও স্টেশন থেকে ডলোমাইট লোডিং বন্ধের দাবিতে দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন করে আসছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। সোমবার রেলকর্তারা এই রেকর্ড আয়ের কথা ঘোষণা করার পরই দলগাঁও স্টেশনে ডলোমাইট লোডিং বন্ধে রেলের বিরুদ্ধে গ্রিন ট্রাইবুনালে যাওয়ার হুঁশিয়ারি েদন বিধানসভার বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে দলগাঁও স্টেশনে ভুটান থেকে আনা ডলোমাইট লোডিং শুরু হয়। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেই ডলোমাইট নিয়ে যাওয়া হয়। রেল কর্তারা জানান, সাধারণত ওই স্টেশনে গড়ে প্রতিদিন দু’টি রেকে ডলোমাইট লোডিং করা হয়। কিন্তু শুক্রবার এক দিনে চারটি রেকের ২৩৫টি ওয়াগনে ডলোমাইট লোড করা হয়। এবং তা থেকে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আয় হয় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। যা রেকর্ড বলে দাবি রেল কর্তাদের।

দূষণ ও দীর্ঘ ক্ষণ রেল গেট বন্ধ থাকার ঘটনা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ দিন ধরে দলগাঁও রেল স্টেশনে ডলোমাইট লোডিং বন্ধের দাবি তুলে আসছেন স্থানীয়রা। তাঁদের সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও দলের মাদারিহাট-বীরপাড়ার নেতাদের সেই আন্দোলন থামেনি। দিন কয়েক আগেও দলগাঁও স্টেশনে রাজ্য বিধানসভার দলের পরিষদীয় দলনেতা তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সেই দলগাঁও স্টেশনেই ডলোমাইট লোডিং-এ রেলের রেকর্ড আয়ের খবর শুনে সোমবার মনোজবাবু বলেন, ‘‘দলগাঁও স্টেশনে ডলোমাইট লোডিং-এ রেল রেকর্ড আয় করতেই পারে। কিন্তু তাতে আমাদের কোনও যায় আসে না। আমরা এই রেকর্ডের জন্য রেলকে তখনই বাহবা দেব, যখন দলগাঁওয়ের বদলে মুজনাইতে ডলোমাইট লোডের বিষয়টি স্থানান্তরিত করা হবে। আর দ্রুত তা করা না হলে, আমরা গ্রিন ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হব।’’

Advertisement

রেলের এক কর্তা অবশ্য বলেন, জমি নিয়ে কিছু জটিলতার জন্যই দলগাঁও-এর বদলে মুজনাইতে গোটা ব্যবস্থাটি স্থানান্তরিত করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই জমিজট কাটানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান রেলের ওই কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন