ধূপগুড়িতে পুরভোটের প্রচারে সিপিএম প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র
দোরগোড়ায় পুরভোট। তাই রবিবারের প্রচারে জোর দিল সব দলই। প্রচারের সময় আর শেষ পাঁচ দিন।
এ দিন সকাল ৮ টা থেকে শুরু করে প্রচার চলে অনেক রাত পর্যন্ত। প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ও পথ সভা করল সব দলই। সিপিএম অবশ্য এদিনও বাড়ি বাড়ি প্রচারের উপরই জোর দিয়েছে। বিজেপির বড় কোনও নেতা না এলেও স্থানীয় নেতারাই বাড়ি বাড়ি প্রচার ও ১১ টি ওয়ার্ডে পথ সভা করে। রবিবাসরীয় প্রচারের অন্য দলগুলির থেকে তৃণমূল অবশ্য এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের দুই মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ও জেমস কুজুর সহ জেলা নেতারা বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। সেই সঙ্গে তাঁরা বেশ কিছু পথ সভাও করেন। এ দিন ধূপগুড়ি পুরভোটের প্রচারের আসেন জলপাইগুড়ির একঝাঁক চিকিৎসক, কলেজের শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও আইনজীবীরাও। কয়েকটি ওয়ার্ডে ঘুড়ে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য স্লোগান দেন তাঁরা। তবে রবিবারের পরে সোমবার রাখি বন্ধনের ছুটি থাকায় সে দিনও দিনভর জমজমাট প্রচার হবে জানাল দলগুলি।
পুরভোটের কয়েকদিন বাকি থাকলেও বড় কোনও জনসভা এখনও হয়নি ধূপগুড়িতে। তাই কোন দলের সমর্থকের ভিড় কতটা, তা সরাসরি কারও চোখে পড়েনি। কাজেই কোন দলের পাল্লা ভারি তা চাক্ষুষ করার সুযোগ হয়নি বাসিন্দাদের কাছে।
ভোটের প্রচার কেমন হচ্ছে তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ আছে। কিন্তু আবার বিরক্তি দেখা যায় অনেক ভোটারের মধ্যে। ১২ ও ৬ ওয়ার্ডের কয়েক জন মহিলা জানান, একটু পরপর নেতারা ভোট চাইতে বাড়ি আসছেন। কিন্তু যে সব প্রতিশ্রুতি তাঁরা দিচ্ছেন, সে সব তাঁরা রাখবেন তো? ভোটের আগে সব নেতাদেরই মিষ্টি মুখ দেখা যায়, কিন্তু তারপরে তাঁরা কোনও কাজ নিয়ে গেলেই বিরক্ত হন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে গেলে নিচ পাড়ার কিছু বাসিন্দা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তাঁকে ফিরিয়ে দেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রার্থীকে দরকারে পাওয়া যায় না।