এনজেপি স্টেশন পেরোলেই সাফাই বন্ধ ট্রেনে

কলকাতা থেকে নিউ কোচবিহার এবং নিউ আলিপুদুয়ার ফেরার ট্রেনগুলিতে এমনই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বিশেষ করে নিউ জলপাইগুড়ির পর থেকে ট্রেনের পরিষেবার দিকে কোনও নজর দেওয়া হয় না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৪০
Share:

নিরাপত্তার বালাই নেই। কোনও ট্রেনে শৌচাগারে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই। দুর্গন্ধ আর নোংরায় কামরায় বসে থাকতেও অস্বস্তি হয় অনেকের। কলকাতা থেকে নিউ কোচবিহার এবং নিউ আলিপুদুয়ার ফেরার ট্রেনগুলিতে এমনই অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বিশেষ করে নিউ জলপাইগুড়ির পর থেকে ট্রেনের পরিষেবার দিকে কোনও নজর দেওয়া হয় না। এই অবস্থায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের।

Advertisement

শুক্রবার পদাতিক এক্সপ্রেসে কোচবিহারে ফিরেছেন বিমল রায়। তিনি বলেন, “আমি অসংরক্ষিত কামরায় ছিলাম। এনজেপি পর থেকে শৌচাগারে যেতে পাচ্ছিলাম না। একবার শৌচাগারের ঢুকতেই গা গুলিয়ে যায়। এ ভাবে যাতায়াত করা কষ্টকর।”

ওই ট্রেনের আরও কয়েকজন যাত্রী জানান, হোলির দিন চারদিক থেকে ঢিল পড়ছিল ট্রেনের উপরে। বাইরে থেকে মাটির দলা, পাথর ছোড়া হয়েছে। পরে সবাই জানালার কাচ বন্ধ করে রেখে দেন। যাত্রীরা জানান, একজন পুলিশ কর্মীকেও কোথাও দেখা যায়নি। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এক আধিকারিক বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার
আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

নিউ কোচবিহার থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, আলিপুরদুয়ার থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা, কাঞ্চনকন্যা-সহ একাধিক ট্রেন যাতায়াত করে কলকাতা পর্য়ন্ত। ওই ট্রেনগুলি যখন প্রান্তিক স্টেশন থেকে রওনা হয় সেই সময় শৌচাগার পরিস্কার থাকে। একটু পরপর সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত কামরায় পুলিশের টহল চলতে থাকে। ওই পরিস্থিতি পাল্টে যায় ট্রেন কলকাতা থেকে ফিরে আসার সময়। এনজেপির পৌঁছনোর পরে ট্রেনে কোনও সাফাই করা হয় না বলে দাবি যাত্রীদের। ফুরিয়ে যায় জলও। শুধু তাই নয়, রেল পুলিশের কোনও কর্মীকে সে সময় দেখা যায় না।

যাত্রীরা জানাচ্ছেন, ফেরার সময় এনজেপি পৌঁছতে পৌঁছতে অনেক যাত্রী নেমে যায়। সে জন্যেই ট্রেনের দিকে নজর দেওয়া হয় না। তাঁদের বক্তব্য, “এনজেপি থেকে কোচবিহার বা আলিপুরদুয়ার পৌঁছতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এই দীর্ঘসময় এমন ভাবে দমবন্ধ করে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।” দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “যাত্রীরা যত ক্ষণ ট্রেনে থাকবে, সেই সময় পর্য়ন্ত পরিষেবা দেওয়া প্রয়োজন রেল কর্তৃপক্ষের। তা করা হচ্ছে না। এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন