ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহে স্থগিত স্কুল, বিতর্ক

এই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পুরাতন মালদহ শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

স্কুলের বাইরে পড়ুয়া। নিজস্ব চিত্র

ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগের জেরে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত স্কুল। এবার সেই স্কুল ঘিরে ফের বিতর্ক। সোমবার স্কুল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দিলেন পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি বাচামারি জিকে হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালে সেই বিজ্ঞপ্তি দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের দাবি, সপ্তাহখানেক পরেই ইউনিট টেস্ট। এই সময় স্কুল বন্ধ হলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আড়াল করতেই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের। স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে জেলা শিক্ষা দফতরও।

Advertisement

এই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ইতিহাসের শিক্ষক অনেকদিন ধরে এই স্কুলে রয়েছেন। তিনি পুরাতন মালদহের বাসিন্দা। ইতিহাসের পাশাপাশি শারীরশিক্ষারও ক্লাস নিতেন তিনি। অভিযোগ, ওই ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে মাঝেমধ্যেই আপত্তিকর ছবি দেখাতেন তিনি। ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, শারীরশিক্ষার ক্লাস নেওয়ার সময় অভব্য আচরণ করতেন ওই শিক্ষক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, স্কুল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে এ দিন সকাল ১০টা থেকেই স্কুল গেটে জমায়েত হতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল গেটের বাইরেই বিক্ষোভ দেখায় তারা। স্কুলের ছাত্র কৌশিক ঘোষ, তুষার হালদারেরা জানায়, আগামী ২ অগস্ট থেকে ইউনিট টেস্ট রয়েছে। এখন কর্তৃপক্ষ আচমকা স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে। কবে স্কুল খোলা হবে তাও কিছু বলেনি কর্তৃপক্ষ। এতে পড়াশোনারও ক্ষতি হবে বলে তাদের অভিমত।

Advertisement

কেন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত? স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহাজান আলম বলেন, “গত, শনিবার একাংশ ছাত্র উত্তেজিত হয়ে আমাদের এক শিক্ষককে হেনস্থা করে। স্কুলের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আপাতত স্কুল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।” এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছিল। শোকজে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে ওই শিক্ষক। থানাতেও আমরা জানিয়েছি। এছাড়া, ওই শিক্ষকের শাস্তির বিষয়ে আমরা বোর্ডেও সুপারিশ করছি। আমরা কোনও ভাবেই ওই শিক্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করছি না” সহকারী মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (সদর) অনঙ্গমোহন আলিপাত্র বলেন, “কোনও ভাবেই স্কুল বন্ধ করা যায় না। কর্তৃপক্ষদের দ্রুত স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন