প্রস্তুতি: বিজেপির সভার জন্য মালদহের বাইপাস লাগোয়া একটি মাঠে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মালদহে সভা করতে আসবেন। অথচ তাঁর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দিচ্ছিল না প্রশাসন। এ বার সেই অনুমতি মিলল। মালদহের একটি হোটেলের হেলিপ্যাডেই নামবে অমিতের হেলিকপ্টার। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সে কারণেই মিটিং-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
মমতা এ দিন আরও বলেন, ‘‘অনুমতি দেওয়া হলেও ওই খানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওঁর হেলিকপ্টার অন্য এক জায়গায় নামবে। পুলিশের অনুরোধে আমার হেসিকপ্টার নামার যায়গাো পাল্টেছে।’’
অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আসতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একটা দোলাচল ছিলই। কিন্তু রবিবারই দিল্লির এইমস থেকে তিনি ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন মালদহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এ দিন থেকেই দ্বিগুণ উৎসাহে ময়দানে নেমে পড়েছেন তাঁরা। সভার ২৪ ঘণ্টা আগেই মালদহে আসছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী। সভাস্থল থেকে শুরু করে হেলিপ্যাড, সমস্ত কিছুই খুঁটিয়ে দেখবে তারা। পাশাপাশি, মোতায়েন থাকছে পুলিশও। এ জন্য তৎপর জেলা পুলিশের কর্তারাও।
মঙ্গলবার পুরাতন মালদহের সাহাপুরে ওই জনসভা শুরুর কথা দুপুর ১টা নাগাদ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরা আসার কথা অমিতের। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে মালদহে আসবেন। তাঁর কপ্টার নামার জন্য মালদহ বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তাই প্রথমে ঠিক হয়েছিল, পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের বিএসএফ ক্যাম্পের হেলিপ্যাডে নামবেন অমিত। তবে এ দিন রাতে দলের উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন্দ্রনাথ বসু বলেন, ‘‘নারায়ণপুরের একটি হোটেলের হেলিপ্যাডে অমিতজির কপ্টার নামবে।’’ এরপর তিন কিলোমিটার সড়কপথে আসবেন অমিত। সভা শেষ করেই দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা তাঁর।
আজ, সোমবারই দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা আসছেন। তবে তাঁর সফর ঘিরে তৎপর জেলা পুলিশকর্তারা। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” এ দিনই জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বৈঠক হওয়ার কথা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মসূচিতে মঞ্চ ভাঙার ঘটনা ঘটেছিল। মালদহে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য বাড়তি সতর্কতা মেনে জোরকদমে চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। এ দিন দুপুরে মঞ্চের কাজ পরিদর্শনে যান দলের রথীন্দ্রনাথ বসু, জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র-সহ অনেকেই। দলীয় সূত্রের খবর, সভায় অন্তত দু’লক্ষ লোক হাজির করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জেলার দু’টি লোকসভা আসন ও দুই দিনাজপুর জেলার দু’টি লোকসভা আসনের কর্মীদের নিয়েই এই সভা। কিন্তু যেহেতু মালদহে সভা হচ্ছে, তাই এই জেলার নেতৃত্বের ঘাড়েই মাঠ ভরানোর দায়িত্ব বর্তেছে।
দলের জেলা সভাপতি বলেন, “হবিবপুর, বামনগোলা, ইংরেজবাজারের কর্মীরা সাহাপুরের দিক থেকে মিছিল করে যাবেন। আর গাজল, দুই দিনাজপুর-সহ অন্য এলাকার কর্মীরা নারায়ণপুরের রাস্তা ধরে সভাস্থলে হাজির হবেন।”