রক্ত সঙ্কটে উদ্বেগ হাসপাতালে

ইসলামপুরের ব্লাডব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল শহরের বেশ কিছু নার্সিংহোমও। বিহারের কিছু এলাকার মানুষও নির্ভরশীল। সে কারণেই এই ব্লাডব্যাঙ্কে প্রতি মাসে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২১
Share:

পুজোর পর থেকেই রক্ত সঙ্কটে ভুগছে হাসপাতাল। খুব জরুরি এক দুই ইউনিট বাদে আর রক্ত প্রায় নেই বললেই চলে। রক্তের প্রয়োজনে ছুটতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকেদের। বিপাকে পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীরাও। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের এই অবস্থায় চিন্তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

Advertisement

ইসলামপুরের ব্লাডব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল শহরের বেশ কিছু নার্সিংহোমও। বিহারের কিছু এলাকার মানুষও নির্ভরশীল। সে কারণেই এই ব্লাডব্যাঙ্কে প্রতি মাসে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। এখন রক্তের প্রয়োজন হলে একই গ্রুপের রক্তদাতাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রক্ত সঙ্কটে রোগীদের বাঁচাতে ইসলামপুর শহরে কয়েকজন তরুণীও এগিয়ে এসেছিলেন। পুজোর পরপরই রক্ত সঙ্কট প্রসঙ্গে অবশ্য ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে রক্তদান শিবির করে ৩০ ইউনিট রক্ত দেয়। গত অগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসেও রক্তদান শিবির হয়।

ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানান, ইসলামপুরের বেশির ভাগ শিবিরগুলিতে ২৫ থেকে ৩০ ইউনিটের বেশি রক্ত পাওয়া যায় না। ইসলামপুরে শতাধিক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। রক্ত দান শিবির হলেই তাঁদেরই আগে রক্ত দিতে হয়। ব্লাডব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে রক্ত জোগাড়েও নেমেছে তাঁরা। ইসলামপুর হাসপাতালের সুপার নারায়ণচন্দ্র মিদ্যা বলেন, পুজোর জন্য রক্তদান শিবির আয়োজন না হওযায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এক সংগঠন আগ্রহ প্রকাশও করেছে।

Advertisement

ইসলামপুরের রক্ত সঙ্কটের বিষয়ে অবগত ইসলামপুরের বিধায়ক নিজেও। ইসলামপুর বিধায়ক অবশ্য রক্ত সঙ্কট মেটাতে সমস্ত ক্লাবকে সঙ্গে নিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরির কথা জানান। সোমবার রাতে একটি অনুষ্ঠানে বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘এক বছরের ক্যালেন্ডার তৈরি করে রক্তদান শিবির করলে সমস্যা মেটানো সম্ভব। সেই হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

নভেম্বরে ইসলামপুর থানার পক্ষ থেকেও রক্তদান শিবির আয়োজন হবে বলেই জানান বিধায়ক। অন্য দিকে, মারোয়ারি যুবমঞ্চের রক্তদান শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোহিত অগ্রবাল বলেন, ক্যালেন্ডার তৈরির দাবি তাঁদেরও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই শুনে আসছি, ক্যালেন্ডার তৈরির বিষয়ে আজ পর্যন্ত কেউ উদ্যোগী হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement