খাদ্য: বক্সায় বাঘ আনার আগে আনা হয়েছে এই হরিণগুলি। নিজস্ব চিত্র
ভিনরাজ্য থেকে বাঘ আনার আগে হরিণ ছাড়ার কাজ শুরু হল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে। পর্যায়ক্রমে সম্বর ও বাইসন ছাড়া হবে এই জঙ্গলে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে একটি পুরুষ বাঘ ও দুটি স্ত্রী বাঘ ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেজন্য বাঘের খাওয়ার জোগান রাখার কাজ শুরু করেছে বন দফতর।
সম্প্রতি নেওড়া ভ্যালির জঙ্গলে বাঘের ছবি ফের ধরা পড়ায় খুশি বন দফতরের কর্তারা। তবে উত্তরবঙ্গের একমাত্র ব্যাঘ্র প্রকল্প বক্সায় বাঘের দেখা মেলেনি বহু বছর ধরে। বক্সায় বাঘ রয়েছে কি না তা নিয়ে অবশ্য বিতর্কও রয়েছে। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে বক্সায় ভিন রাজ্য থেকে বাঘ আনার চেষ্টা চলছে। তবে রাজ্যের শীর্ষ বনকর্তার দাবি, বক্সায় বাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বারে বারে। শনিবার রাজাভাতখাওয়ায় এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিংহ বলেন, ‘‘নেওড়া ভ্যালির জঙ্গলে বাঘের ছবি ওঠায় আমরা খুশি। তবে বক্সাতেও বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে পাহাড়ি এলাকা রয়েছে। অনেক জায়গায় ক্যামেরা পাতা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি বাঘের ছবি তোলার। ভিন রাজ্য থেকে তিনটি বাঘ আনার প্রক্রিয়াও চলছে।’’ তিনি জানান, সে জন্য বক্সায় হরিণ সম্বর ও বাইসন ছাড়া হবে। ইতিমধ্যে হরিণ ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, বৃহস্পতিবার বক্সার জঙ্গলে ২২টি হরিণ ছাড়া হয়েছে। প্রায় দেড়শো হরিণ ছাড়া হবে। তা ছাড়া সম্বর ও বাইসনও ছাড়া হবে জঙ্গলে। রাজ্য প্রধান মুখ্য বনপালের দাবি, তিনি নিজে ২০০২ সাল ও ২০০৪ সালে রাজাভাতখাওয়া এলাকায় বাঘ দেখেছেন।
তা ছাড়া আগামী ফ্রেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে বাঘ গণনাও হবে। সেই সময় অসমের মানস, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ভুটানের জঙ্গলে বাঘসুমারি চলবে। তখন বাঘের বিষ্ঠা খোঁজা ও ট্র্যাপ ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হবে।