শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের দফতরের দেওয়ালে প্রাক্তন সভাধিপতি, বাম-নেতা তাপস সরকারের ছবি। ছবি: স্বরূপ সরকার
দফতরে তাঁর ঘরের দেওয়ালে টাঙানো প্রাক্তন সভাধিপতিদের ছবি। ছিল না শুধু প্রাক্তন সভাধিপতি, সিপিএমের তাপস সরকারের ছবি। এ বার সেই দেওয়ালে তাপসেরও ছবি টাঙালেন বর্তমান সভাধিপতি, তৃণমূলের অরুণ ঘোষ। নিজের হাতে পরিষদের দফতরে তাঁর ঘরে তাপসের ছবি টাঙিয়েছেন অরুণ। সিপিএমের প্রাক্তন সভাধিপতির ছবি টাঙানো নিয়ে রাজনীতির ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন অনেকে। যদিও অরুণের বক্তব্য, ‘‘উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। রাজনীতির উর্ধেব আমরা উন্নয়নকে রেখেছি। রীতি অনুযায়ী প্রাক্তন সভাধিপতিদের ছবি দেওয়ালে টাঙানো থাকে। তাপসবাবুর ক্ষেত্রে তার অন্যথা হওয়ার কারণ নেই।’’ তাপসের বক্তব্য, ‘‘আমার ছবি এত দিন কেন টাঙানো হয়নি জানি না। বর্তমান বোর্ড ছবি টাঙাবে কি না, তা তাদের অভিরুচি। তবে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা যে বাড়ছে, তা তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই বুঝতে পারছে।’’ সভাধিপতির ঘরে ঢুকলেই দেওয়ালে দেখা যায় প্রাক্তন সভাধিপতিদের ছবির সারি। সঙ্গে পূর্বতন সে সব সভাধিপতির মেয়াদের সময়কালও। সেই সারিতে তাপস এত দিন বঞ্চিত ছিলেন বলে অভিযোগ। পরিষদে ছবি-রাজনীতি কিছু দিন আগে থেকে শুরু হয়। পরিষদের বর্তমান বিরোধী দলনেতা, বিজেপির অজয় ওরাওঁয়ের ঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানো হয়েছিল। তখন অরুণের যুক্তি ছিল— ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সবার। বিরোধীদের ঘরেও তাঁর ছবি থাকা অন্যায় নয়।’’ তবে অজয় পরের দিনই পরিষদে তাঁর বরাদ্দ ঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি টাঙিয়ে দেন। শিলিগুড়িতে গত কয়েকটি নির্বাচনে বামদের ভোট বিজেপির ঝুলিতে পড়েছিল বলে দাবি অনেকের। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বাম ভোটারদের ‘রামে’ ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বাম নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদান করানোর ‘মুখ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন শঙ্কর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, সে ভাবেই কি পরিষদের সভাধিপতিও বাম নেতা-কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের ইঙ্গিত দিতে চাইছেন? যদিও অরুণের বক্তব্য, ‘‘বামেরা শূন্যতে ঠেকেছে। উন্নয়নের স্বার্থে অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাকিরাও দেবেন।’’ সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, ‘‘আমরা পরিবর্তনের লক্ষ্যে রয়েছি।’’ আর শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে তৃণমূলকে সরাতে একমাত্র বিকল্প বিজেপিই।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে