কংগ্রেস কাউন্সিলরদের শর্তে বাজেটে সাতটি সংশোধন এবং সংযোজন এনে তাদের সমর্থনে শিলিগুড়ি পুরসভার বাজেট পাশ করালেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। সোমবার বাজেট আলোচনায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুজয় ঘটক ছ’টি এবং তাঁদের কাউন্সিলর সীমা সাহা একটি প্রস্তাব আনেন। সেগুলোর অধিকাংশই মেয়র সংশোধনীতে রাখবেন বলে জানানোয় কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর এ দিন হাত তুলে বাজেট সমর্থন করেন। চেয়ারম্যান বাদ দিয়ে বামেদের একুশ কাউন্সিলর এবং কংগ্রেসের চার জনের সমর্থনে ধ্বনিভোটে বাজেট পাশ হয়।
শনিবার বাজেট পেশের দিন কংগ্রেসের সমর্থন চেয়ে তাঁদের পরিষদীয় দলনেতাকে চিঠি দিয়েছিলেন মেয়র। বিরোধী তৃণমূলের আঠারো এবং বিজপির দুই কাউন্সিলর অবশ্য বাজেটকে সমর্থন জানাননি। তৃণমূলের কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল, রঞ্জন সরকার, নান্টু পাল, রঞ্জন শীলশর্মারা এ দিন বাজেটের কড়া সমালোচনা করেন। অভিযোগ তোলেন, মেয়র নানা ভাবে কর চাপাচ্ছেন। ন্যাশনাল আর্বান হেল্থ মিশনের মতো প্রকল্পে টাকা পড়ে থাকলেও খরচ করতে পারছেন না। জবাবি ভাষণে এ সব প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়েই অসহিষ্ণু মেয়র পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরদের। মেয়র বলেন, ‘‘এ দিন ২৫ জনের সমর্থন নিয়ে বাজেট পাশ হওয়ায় বোর্ড সংখ্যালঘু নয় প্রমাণ হল। তথ্য প্রমাণ দিয়ে সব বলে সামনের দরজা দিয়েই গিয়েছি।’’ তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরাই কথা শোনার ধৈর্য রাখতে পারেননি।
এ দিন কংগ্রেসের তরফে যে প্রস্তাবগুলো দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সেসপুল, জলকর এবং পানীয় জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহের ফি বৃদ্ধি না করা। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বয়স্ক-প্রতিবন্ধী-বিধবারা যতজন ভাতা পান সেই সংখ্যা বাড়ানো। যে সমস্ত সাংসদ, বিধায়কদের কাছ থেকে সাহায্য মিলেছে তাঁদের নাম, কোথায় বরাদ্দ দিয়েছেন তা উল্লেখ করা। ওয়ার্ডে অনুষ্ঠান করতে কাউন্সিলরদের বরাদ্দের দাবিও উঠেছে।