কী কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল শিলিগুড়ির জল সরবরাহ, তার তদন্তের আর্জি জানিয়ে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
রাস্তা চওড়া করে এশিয়ান হাইওয়ের কাজের জন্য শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল সরবরাহের পাইপ লাইন সরাতে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে দু’ দিন সময় চেয়েছিল জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতর। সেই মতো ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর জল সরবরাহ বন্ধ রেখে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু দুই দিন পরেও কী কারণে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায়নি তা তদন্ত করে দেখার আর্জি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মেয়র।
অভিযোগ, জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর পুরসভার সামনে মেয়রের গাড়ি ঘেরাও করে দু’ঘণ্টা তাঁকে আটকে রাখে তৃণমূল এবং কিছু লোকজন। পুলিশ থাকলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমন কী নাগরিক পরিষেবার কাজও তাতে বিঘ্নিত হয় বলে জানানো হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকেও এ দিন চিঠি পাঠান মেয়র। অশোকবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি সুব্রতবাবুকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। পানীয় জল পরিষেবা পাঁচ দিন বন্ধ থাকায় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দফতরের কর্মীরা পরে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছেন ঠিকই। তবে কেন দুই দিনের জায়গায় পাঁচ দিন সময় লাগল তা তদন্ত করে দেখার কথা তাঁকে জানিয়েছি। তেমনই পুলিশের ভূমিকার কথাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল বলেন, ‘‘মেয়র আগাম ব্যবস্থা নিতে পারেননি। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারতেন তা তিনি করেননি। সে জন্য জলের দাবিতে মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই তা হয়েছে।’’ তৃণমূলের অপর কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘‘পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মেয়র। মানুষের সঙ্গে তাঁরা বিশ্বাসঘাতকটা করছেন। এখন প্রচারে থাকতে এ ধরণের চিঠি পাঠাচ্ছেন।’’