নিশ্চয়তা: সহায়িকারা নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র
চাকরি নিশ্চিত করতে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের সহায়িকাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হল ইসলামপুরে। রবিবার ইসলামপুরের নেতাজি সুভাষ মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, ইসলামপুরের বিধায়াক কানাইয়ালাল অগ্রবাল, ডিপিএসসির চেয়ারম্যান জাহিদ আলম আরজু, মহকুমাশাসক সেরিং ওয়াই ভুটিয়া সহ জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মীরা।
এ দিন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি জানান, আগে প্রায়শই দেখা যেত কোনও পঞ্চায়েত সমিতি বদলের পর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের সহায়িকাদের উপরে তার চাপ পড়ত। পছন্দ না হলেই বদল করে দেওয়া হতো তাঁদের। তাঁদের রোজগার নিয়েই রাজনীতি করা ঠিক নয়, তাই তাঁদের চাকরি সুনিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
এ দিন ওই অনুষ্ঠানে ইসলামপুরের পাশাপাশি মহকুমার চোপড়া, গোয়ালপোখর সহ পাঁচটি ব্লকের পঞ্চাশ জন করে সহায়ক-সহায়িকাদের হাতে তাঁদের নিয়োগ পত্র তুলে দেন মন্ত্রী বিধায়ক-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মোট আড়াইশো জনকে সেই হল থেকেই নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। এলাকার মোট ১৮০০ জন সহায়ক-সহায়িকার মধ্যে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের ১৭০০ সহায়িকা সেই নিয়োগ পত্র পাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৬০ বছর পর্যন্ত তাঁদের চাকরির নিশ্চয়তা হয়েছে। বিডিও অফিস থেকে সহায়িকারা তাঁদের নিয়োগ পত্র পাবেন।
শিক্ষার মান বাড়াতে স্কুলে আরও সময় ব্যয় করার জন্য শিক্ষিকাদের কাজে আবেদন রাখেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে শিক্ষকদের অবদান থাকে। তাঁদের মনে রাখা হয় সারা জীবনই।’’ অপর দিকে, ইসলামপুরের বিধায়ক এলাকার সহায়িকাদের ইংরেজির উপর জোড় দেওয়ার কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় গজিয়ে উঠেছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। অভিভাবকেরাও সেই স্কুলে পাঠাচ্ছেন। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি শিখতে পারলে ভবিষ্যতেও সমস্যা হবে না।’’