ফের শহরে এটিএম লুট

বছরখানেক আগে একই কায়দায় শহর লাগোয়া ৭৩ মোড়ের একটি এটিএমে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গ্যাস কাটার দিয়ে সেই মেশিন কেটে টাকা লুট করেছিল তারা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি টাকাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

আবার গ্যাস কাটার দিয়ে এটিএম মেশিন কেটে টাকা লুটের অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি শহরে। এ বারে শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বেগুনটারি মোড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোর রাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই এটিএম কিয়স্কে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। একটি এটিএম কেটে সব টাকা নিয়ে গিয়েছে তারা। কিয়স্কে থাকা অন্য এটিএমটিও কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, লুট হওয়া এটিএমে ২১ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছিল শনিবার। তবে শেষ অবধি তাতে কত টাকা পড়ে ছিল, সেই ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত নন। পুলিশ এখন কিয়স্কের ভিতরে ও বাইরে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে।

Advertisement

বছরখানেক আগে একই কায়দায় শহর লাগোয়া ৭৩ মোড়ের একটি এটিএমে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। গ্যাস কাটার দিয়ে সেই মেশিন কেটে টাকা লুট করেছিল তারা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উদ্ধার হয়নি টাকাও। তাই এ বারেও পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দিহান জলপাইগুড়ির মানুষ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীকান্ত জগন্নাথারাও ইলওয়াড বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে বহিরাগতরা এই কাজ করতে পারে। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, খুব তাড়াতাড়ি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করব।’’ পুলিশ এ দিন বলেছে, সম্ভবত সোমবার ভোর রাতে এটিএমটিতে হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কারণ, এটিএমটি যে গ্যাস কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে, সেটা সোমবার বেলা বাড়ার পরেই নজরে আসে। এটিএমে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। তাই তদন্তে এগোনোর জন্য সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়া উপায় নেই। পুলিশের একটি সূত্রের বক্তব্য, সম্ভবত ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা এসে এই লুটপাট করে পালিয়ে গিয়েছে। সকালে যখন মেশিন ভাঙার কথা জানা গিয়েছে, তখন তারা রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।

ব্যাঙ্ক সূত্রের দাবি, শহরের কোতোয়ালি থানা এলাকার ওই কিয়স্কে দু’টি এটিএম রয়েছে। এ দিন সকালে দেখা যায়, এটিএম কাউন্টারটি ভাঙা। কাউন্টারের দুটো যন্ত্রের মধ্যে একটি গ্যাস কাটার দিয়ে পুরোপুরি কেটে সব টাকা বের করা হয়েছে দাবি। অন্য মেশিনটিও গ্যাস কাটার দিয়ে কাটা হয় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষী না থাকার সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা, দাবি পুলিশের। ব্যাঙ্কের দাবি, দুষ্কৃতীরা গ্যাস কাটার ব্যবহার করে এটিএমের ক্যাশ ট্রে বের করে নেয়। এর পর দ্বিতীয় মেশিনটিকেও কাটার চেষ্টা করে। সেটি কিছুটা কাটা হয়েছিল বলেও দাবি তাদের। তবে পুলিশ মনে করছে, কিছু টাকা নিলেও সেখান থেকে সব টাকা নিতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন