অনন্তের বিরুদ্ধে তদন্ত চান বংশী

অনন্ত রায়ের ‘মহারাজ’ নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুললেন বংশীবদন বর্মন। সোমবার দিনহাটার জরাবাড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে কোচবিহারের ভারত ভুক্তি দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান করেন বংশীবদনবাবুর অনুগামীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪০
Share:

বংশীবদন বর্মন।

অনন্ত রায়ের ‘মহারাজ’ নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এবার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুললেন বংশীবদন বর্মন। সোমবার দিনহাটার জরাবাড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে কোচবিহারের ভারত ভুক্তি দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান করেন বংশীবদনবাবুর অনুগামীরা। ফেব্রুয়ারি মাসে নিউকোচবিহারে রেল অবরোধ আন্দোলনের পর এ দিনই প্রথম সাংগঠনিক কর্মসূচি নেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানের পর মোবাইলে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন বলেন, “অনন্ত রায়ের নেতৃত্বাধীন সংগঠনের আর্থিক বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কোচবিহারের বাসিন্দাদের অনেকের মধ্যে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সেই সন্দেহ দূর করতে উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার।”

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথক রাজ্যের দাবিতে নিউ কোচবিহারে বংশীবদন বর্মনের নেতৃত্বাধীন গ্রেটার সমর্থকদের অবরোধ আন্দোলন শুরু হয়। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। আন্দোলনকারীদের তরফেও পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলা হয়। তারপরেই বংশীবদনবাবুর বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তার জেরে তিনি কয়েকমাস আত্মগোপন করে ছিলেন বলে অভিযোগ।

এরমধ্যেই নারায়ণী সেনা নামে বাহিনী তৈরি, চকচকা শিল্প তালুকের জমি দখল, বিশাল বাড়ি তৈরির টাকার উৎস সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে ওঠা অভিযোগে অনন্ত রায় গোষ্ঠী কিছুটা ব্যাকফুটে যেতেই ফের সংগঠন ঘোছাতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন ‘আত্মগোপনকারী’ বংশীবাবু। ইতিমধ্যে অনন্তবাবু বিরুদ্ধে ধর্মীয় রীতি মানা নিয়ে ফতোয়া দেওয়ার অভিযোগ নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। তবে অনন্ত অনুগামী শিবিরের ব্যাপারে এ দিনই প্রথম সংবাদমাধ্যমে তদন্তের দাবি জানান। ওই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে বংশীবাবু অবশ্য বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমেই ওই তদন্তের ব্যাপারে আর্জি জানাচ্ছি।”

Advertisement

গোটা ঘটনায় গ্রেটার কর্মীসমর্থকের একাংশের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখনও কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য ঘোষণার দাবি থেকে যে তিনি সরছেন না সে কথা বংশীবাবুর বক্তব্যে স্পষ্ট। তাঁর দাবি, ‘‘১৯৪৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কোচবিহার রাজ্য ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী কোচবিহার গ শ্রেণির রাজ্য। ওই স্বীকৃতি বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মর্যাদার দাবিতে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন জারি রাখতে চাইছি। পুজোর আগে এসব নিয়ে রূপরেখা ঠিক করতে সাংগঠনিক বৈঠক করার চেষ্টা হচ্ছে।’’

জামিন পেলেই ওই ব্যাপারে তিনি এগোবেন বলেই অবশ্য তার ঘনিষ্ঠদের একাংশের অনুমান। বংশীবাবুর আইনজীবী শিবেন রায় বলেন,“উচ্চ আদালতে বংশীবদন বর্মনের জামিনের আবেদন জানান হয়েছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ বংশীবদন বর্মন একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি। মন্তব্য করছি না।”

বংশীবাবুর তোলা দাবি নিয়ে অনন্ত রায়ের বক্তব্য অবশ্য জানা যায়নি। ওই সংগঠনের সভাপতি নির্মল রায়ের মোবাইলও বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement