ভিন্ রাজ্যে ফের শ্রমিক মৃত্যু, রহস্য

এলাকাবাসীর একাংশ জানান, গত সপ্তাহে প্রতিবেশির বিবাদ মেটাতে গিয়ে গুরগাঁওয়ে খুন হয়েছিলেন চাঁচলের অরবরার এক অটোচালক। তারপর ফের ভিন্‌ রাজ্যে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বাইরে থাকা শ্রমিকদের পরিজনদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

হরিয়ানায় কর্মরত মালদহের চাঁচলের এক শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে গুরগাঁও এলাকায় ভাড়াবাড়ির কাছে একটি চায়ের দোকানের সামনে ওই শ্রমিকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। কোনও রোগে নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম তসদুক হোসেন (৫৫)। তাঁর বাড়ি মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘাবসতপুর-খানপুরে। খানপুরের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী জইগুন থাকেন। কী ভাবে তসদুকের দেহ বাড়িতে ফিরবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। দেহ ফেরাতে চাঁদা তোলার পরিকল্পনা করেন বাসিন্দারা। ওই বুথ এলাকার বাসিন্দা তথা মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পিঙ্কি খাতুন এ দিন দুপুরে খানপুরে গিয়ে মৃতের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই পরিবার যাতে সাহায্য পায় তা দেখছি। প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, তসদুকের ছেলে মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। মাসছয়েক আগে মেয়ে রৌশনা খাতুনকে নিয়ে কাজের খোঁজে গুরগাঁওয়ে যান তসদুক। সেখানে এলাকার পরিচিত কিছু শ্রমিক আগে থেকেই রয়েছেন। বাদশাপুর এলাকায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন তসদুক। এ দিন সকালে সেখানেই একটি চায়ের দোকানের সামনে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পরিচিতরাই ফোনে করে বাড়িতে খবর দেন।

Advertisement

এলাকাবাসীর একাংশ জানান, গত সপ্তাহে প্রতিবেশির বিবাদ মেটাতে গিয়ে গুরগাঁওয়ে খুন হয়েছিলেন চাঁচলের অরবরার এক অটোচালক। তারপর ফের ভিন্‌ রাজ্যে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বাইরে থাকা শ্রমিকদের পরিজনদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।

তসদুকের স্ত্রী এ দিন দাবি করেন, স্বামী সেখানে এক জনের কাছ থেকে সুদে টাকা ধার করেছিলেন। টাকা ফেরত দিতে না পারায় তাঁকে খুনের হুমকি হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান, শামিম আখতার বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তের পরে ওখানে থাকা এলাকার তিন শ্রমিককে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে বাড়ি ফিরতে বলা হয়েছে। আমরা এখানে সব টাকা মিটিয়ে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন